জগদীশ গুপ্ত (১৮৮৬–১৯৫৭) ছিলেন আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের এক বিশিষ্ট সাহিত্যিক। তাঁকে বাংলা ছোটগল্পের মনস্তাত্ত্বিক ধারার অন্যতম পথিকৃৎ বলা হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রভাবমুক্ত এক নতুন বাস্তবধারার সাহিত্য তিনি গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর রচনায় গ্রামীণ জীবনের চেয়ে শহুরে মধ্যবিত্ত সমাজ, জটিলতা, মানসিক টানাপোড়েন ও অন্তর্জগৎ প্রধান হয়ে ওঠে। তিনি ছিলেন বাংলা কথাসাহিত্যের এক নীরব বিপ্লবী। তাঁর লেখায় বাহ্যিক ঘটনার চেয়ে মানবমনের গভীর স্তর ও আধুনিক জীবনের বাস্তবতা বেশি জায়গা পেয়েছে। বাংলা ছোটগল্পকে তিনি মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা ও বাস্তবধর্মী গাম্ভীর্য দিয়েছেন।
২৯ অক্টোবর জগদীশ গুপ্তের ‘দিবসের শেষে’ গল্পটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্র সঞ্চালক পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক ইয়ারমিন আক্তার বলেন, ‘জগদীশ গুপ্তের “দিবসের শেষে” গল্পটি নিয়তির হাতে ভাগ্যাহত এক সাধারণ মানুষের করুণ পরিণতির মর্মস্পর্শী চিত্রণ। এই গল্পে রতি নাপিতের পরিবারকে কেন্দ্র করে একটি মর্মান্তিক ঘটনা দেখানো হয়েছে, যেখানে ভাগ্যচক্রের নির্মম পরিহাসে তার পাঁচ বছরের সন্তানকে কুমিরে খেয়ে ফেলে। গল্পের মূল থিম হলো মানুষের অসহায়তা এবং ভাগ্যের কাছে তার অসহায় আত্মসমর্পণ।’
পাঠচক্রের আসরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু শাফিনুর ইসলাম, ইয়ারমিন আক্তার, শিলা আক্তার, মোস্তাকিম বিল্লাহ, তৌহিদুল ইসলামসহ অন্য বন্ধুরা।