‘দেশের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি। শহরের তুলনায় গ্রামে এ হার বেশি। অনেক শিক্ষার্থীই বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন থাকলেও কেউ মানছে না। এ জন্য জনসচেতনতা দরকার। আজকের এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের মনে রেখাপাত করুক, এ কামনা করি।’ জেলা প্রশাসন ও বন্ধুসভাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বেহুলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।
১৯ নভেম্বর বেহুলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ‘বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয়’ শিরোনামে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও কমিউনিটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এটির আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাল্যবিবাহের হার রোধ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ে এ কর্মসূচি চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বন্ধুসভা এ কর্মসূচি পালন করছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় এবং বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক ও সামাজিক জীবনে এর প্রভাব। লটারির মাধ্যমে দুটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুশফিকুর রহমান, সহকারী শিক্ষক কাবিবুর রহমান ও খলিলুর রহমান। শেষে বিজয়ী ছয়জনকে পুরস্কার হিসেবে বই উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, বন্ধু ফাতিমা খাতুন, ফাবিহা ফারজানা, সৈয়দ নাফিউল হাসান প্রমুখ।
বন্ধুসভার সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম বলেন, বন্ধুসভা যেকোনো ভালো কাজের সঙ্গেই থাকে। তেমনই ভালো কাজের একটি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি। বাল্যবিবাহের পাশাপাশি নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধেও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবেন বন্ধুরা। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আলোচনা, কুইজ বা উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, নাটক বা গম্ভীরা। পাশাপাশি থাকবে উঠান বৈঠকও।
জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা