নোয়াখালী ওল্ড হোম ডে কেয়ারে ৪০ জন প্রবীণ ব্যক্তি ও ১৪ জন এতিম শিশু বসবাস করেন। তাঁদের জন্য ইফতার, রাতের খাবার ও সাহ্রির আয়োজন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ১৯ মার্চ এ কর্মসূচি পালিত হয়। বন্ধুসভার বন্ধুরাও তাঁদের সঙ্গে ইফতার করেন।
ইফতারের মেন্যুতে ছিল খেজুর, পেঁয়াজি, বেগুনি, ছোলা, মুড়ি, জিলাপি, ফল, শরবত, পায়েস, ভাত, মাংস ও ডিম। সাহ্রির জন্য পরিবেশিত হয় পোলাও, মাংস, ডিম, ডাল ও সালাদ। বন্ধুসভার এই আয়োজন বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের এক সন্ধ্যার জন্য হলেও আনন্দ ও ভালোবাসার সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়।
এক বৃদ্ধা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘মেলা দিন হর মনে হইসে, আঁরা একলা ন। আমগো খোঁজ নিবার মতো মাইসে আছে এবো।’
একজন বৃদ্ধার চোখে আনন্দের অশ্রু টলমল করছিল। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় হোলাহাইন আমগোরে ভুলি যায়, কিন্তু আন্নেরা মনে রাইকসেন। এই আনন্দ কই বুঝাইতাম হইত্তাম ন।’
এক এতিম শিশু উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলে, ‘আমরা সাধারণত এভাবে এতজন একসঙ্গে বসে খেতে পারি না। আজ আমাদের অনেক আনন্দ লাগছে।’
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি বন্ধুসভার সভাপতি আবু রায়হান, সাবেক সভাপতি কাউসার আলম, সহসভাপতি ইসরাত জাহান, সাধারণ সম্পাদক নাহিন সুলতানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উম্মে মেহেরুন সরকার ও অন্য সদস্যরা।
বন্ধুসভার এই মানবিক উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। বৃদ্ধাশ্রমের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন শুধু খাবার বিতরণ নয়, বরং একাকিত্বে থাকা মানুষদের জন্য ভালোবাসা ও যত্নের বহিঃপ্রকাশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক।’
এর আগে ৫ মার্চ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচি পালন করে নোবিপ্রবি বন্ধুসভা।
সভাপতি, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা