নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে লিডারশিপ ট্রেনিং কর্মশালা

ঝিনাইদহ বন্ধুসভার আয়োজনে ‘লিডারশিপ ট্রেনিং কর্মশালায়’ অংশগ্রহণকারীরা
ছবি: বন্ধুসভা

বন্ধুদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে ৭ জুন দিনব্যাপী ‘লিডারশিপ ট্রেনিং কর্মশালা’র আয়োজন করে ঝিনাইদহ বন্ধুসভা। শহরের ফ্যামিলি জোনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৩৫ জন বন্ধু অংশ নেন। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন উপদেষ্টা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান ও উপদেষ্টা ইসহাক আলী।

তাঁরা প্রথমেই বন্ধুদের চারটি দলে ভাগ করেন। প্রতিটি দল থেকে একজন করে দলনেতা নির্বাচন করা হয়। প্রথম সেশনে টিম গঠন, লিডারশিপ কী, এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। সব দলকে একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি লিখে জমা দিতে বলা হয় এবং সেগুলো পড়ে শোনানো হয়। এরপর ১০ মিনিট বিরতি শেষে দলগুলোর মাইন্ড গেইম, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা আনয়ন পদ্ধতি, দলে একে অন্যকে সহযোগিতা, সহমর্মিতা শেখানো হয়।

সনদ হাতে অংশগ্রহণকারীরা
ছবি: বন্ধুসভা

দ্বিতীয় সেশনে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রত্যেক দল নতুন করে একটি করে সংগঠনের নামকরণ, স্লোগান, লোগো, সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তৈরি এবং কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে। কমিটি গঠনের পর প্রতিটি দল থেকে দুজন করে তাঁদের কার্যক্রম প্রেজেন্টেশন আকারে সবার সামনে তুলে ধরেন।

প্রশিক্ষক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, কঠিন প্রশিক্ষণ, সহজ যুদ্ধ। দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। হাতে-কলমে বিভিন্ন রোল-প্লের মাধ্যমে বন্ধুদের নেতৃত্ব বিকাশ শেখানো হয়েছে। বিশেষ করে টিমওয়ার্ক, যোগাযোগের দক্ষতা, আদর্শ নেতার গুণাবলি, নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা—এই সার্বিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

সকাল ৯টায় শুরু হয়ে কর্মশালা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে সবার ক্লান্তি ও একঘেয়েমি দূর করতে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ৩০ মিনিটের সাংস্কৃতিক পর্ব হয়। কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটি আবৃত্তি করেন কাজী জান্নাতুল। জান্নাতুল ফেরদৌস তাঁর স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। জিসান আহাম্মদ ও সহসভাপতি ফিরোজ হোসেন গান পরিবেশন করেন।

কর্মশালা শেষে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ বন্ধুসভার উপদেষ্টা ইসহাক আলী, আনোয়ার ফিরোজ মাসুম, নাজমুল আলম রিগান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান, সভাপতি আবু রেজা ইমরান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব। সঞ্চালনা করেন জিসান আহাম্মদ ও সুমাইয়া খাতুন। সবশেষে তিনজনকে সেরা প্রশিক্ষণার্থী ঘোষণা ও সবার হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়।