কপ৩০ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বার্ষিক সম্মেলনের ৩০তম অধিবেশন, যা বর্তমানে ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে বৈশ্বিক নেতারা জলবায়ু–ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ন্যায্য অধিকার, ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং অভিযোজন তহবিল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দাবি—যে দেশগুলো সবচেয়ে কম দূষণ করে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জলবায়ু–ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে নোয়াখালীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সদস্যরা।
আয়োজকেরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জীবনযাত্রা, কৃষি, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব বাড়ছে। ঝুঁকিভুক্ত জনগোষ্ঠীর ন্যায্য অধিকার, ক্ষতিপূরণ এবং জলবায়ু-ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর নীতি প্রণয়নের দাবি তুলে ধরতেই এই মানববন্ধনের আয়োজন।
নোয়াখালী বন্ধুসভার সভাপতি উম্মে ফারহিন বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের জরিপ অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। নোয়াখালীর মতো উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ হিসেবে এই ঝুঁকি আমাদের জন্য তীব্র। আমরা খুব অল্প কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হয়েও এর ক্ষতি আমাদেরই বেশি ভোগ করতে হচ্ছে। অতএব যারা এটার জন্য দায়ী তাদেরই ন্যায্যভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের জনজীবন ও ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখতে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে। এটা আমাদের ন্যায্য অধিকর।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজকির হোসেন বলেন, ‘জলবায়ুর ক্ষতি প্রথমে আঘাত হানে নিম্নবিত্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর। তাই কেবল সচেতনতা নয়, প্রয়োজন দায়িত্বশীল উদ্যোগ ও ন্যায্য প্রতিকার। রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলকে ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হলে পরিবর্তন সম্ভব।’
দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা