অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান
ছবি: বন্ধুসভা

প্রথম আলো বলছে, ‘জেগেছে বাংলাদেশ’। এই সময়ে আমাদের সবাইকে কথা বলতে হবে। গত ২৬ বছরে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন ছিল প্রথম আলো। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে পত্রিকাটি। প্রথম আলো তাদের সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতাবোধ দিয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে।

‘জেগেছে বাংলাদেশ’ স্লোগানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বক্তারা। ৯ নভেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাবি বন্ধুসভা।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক রহিমা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজিদ হোসেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘বিগত সরকার ও ক্যাম্পাসের নানা অনিয়ম, অত্যাচার ও ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করেছি। প্রথম আলো আমার সঙ্গে ছিল বলেই এত সাহস দেখাতে পেরেছি। সরকারবিরোধী অনেক লেখা অন্য কোনো পত্রিকা ছাপানোর সাহস দেখাত না। প্রথম আলো সেগুলো সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছে। প্রথম আলো জনগণের সঙ্গে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে। এটাই প্রথম আলোর বড় শক্তি। বিগত সরকার দমন-পীড়ন করে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে দেয়নি। কিন্তু এ সময় প্রথম আলো বিরোধীদলীয় “রোল প্লে” করেছে। সরকারের ভুল কাজের সমালোচনা করেছে। এই সময়ে প্রথম আলোকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান
ছবি: বন্ধুসভা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম আলো সংবাদ তৈরি করার পাশাপাশি লেখক ও পাঠক তৈরি করে। প্রথম আলোর কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এ কারণেই সমালোচনা করতে পারি। প্রথম আলো তাদের সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। তারা অন্য পত্রিকাগুলোর পথপদর্শক হিসেবে কাজ করে। প্রথম আলো বিগত সময়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে রাষ্ট্রের বড় বড় চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। আমরা বৈষম্যহীন স্বপ্নের যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, সেই যাত্রায় প্রথম আলোকেও পাশে পাব বলে আশা করি। প্রথম আলো সৃজনশীলতা দিয়ে ভবিষ্যতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম আলো বলছে, “জেগেছে বাংলাদেশ”। এই সময়ে আমাদের সবাইকে কথা বলতে হবে। অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকতে হবে। গত ২৬ বছরে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন ছিল প্রথম আলো। মানুষের অধিকার আদায়ে সব সময় কথা বলেছে পত্রিকাটি। রাষ্ট্র সঠিক পথে চলছে কি না, সেটিরও সমালোচনা করে যাচ্ছে প্রথম আলো। বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম আলো আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা।’

আলোচনা পর্ব শেষে উপস্থিত বন্ধুসভার বন্ধুদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে বিজয়ী তিন বন্ধুকে বই উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রাবি বন্ধুসভার উপদেষ্টা সারিকা তাসনিম, সুরুজ সরদারসহ বন্ধুসভার অর্ধশতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি, রাবি বন্ধুসভা