চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও এতিম শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বিজয়ীদের উপহার হিসেবে বই দেওয়া হয়
ছবি: বন্ধুসভা

‘প্রথম আলোর শুরুর কয়েক মাস আগে আমার চাকরিজীবন শুরু হয়। সেই থেকে প্রথম আলোর সঙ্গে আছি এবং শেষ দিন পর্যন্ত থাকব। প্রথম আলো যে শুধু সংবাদ প্রকাশ করছে, তা কিন্তু নয়, তারা সমাজের বিভিন্ন রকমের ভালো কাজগুলো করে যাচ্ছে। সৃজনশীল মানুষ তৈরিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ জামালপুর বন্ধুসভা আয়োজিত প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসে এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা এবং সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আব্দুল হাই আল হাদী।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় জামালপুরের সরকারি শিশু পরিবারের মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা ও এতিম শিশুদের নিয়ে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ ও জামালপুর বন্ধুসভার সভাপতি মোহাইমিনুল ইসলাম।

শিশুদের আঁকা ছবিগুলোর প্রদর্শনী
ছবি: বন্ধুসভা

বন্ধুসভার উপদেষ্টা এবং সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান উপদেষ্টা মনোয়ার হোসেন বলেন, মানুষের পক্ষে, জীবনের পক্ষে এবং সত্য-সুন্দরের পক্ষে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রথম আলো। ২৪ বছর ধরে ভালো কাজের আলো জ্বালিয়ে যাচ্ছে তারা। উপদেষ্টা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘যখন থেকে প্রথম আলো বাজারে এসেছে, তখন থেকেই এটির বাহ্যিক ডিজাইন দেখে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। আমার জীবনে প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি ছাপানো হয়েছিল ২০০০ সালের দিকে। প্রথম আলোর ওই পৃষ্ঠা এখনো যত্ন করে রেখে দিয়েছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামালপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা হিশাম আল মহান্নাভ, মানবাধিকারকর্মী ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর সেলিম, চিত্রশিল্পী বিশ্বজিৎ কুমার, বন্ধুসভার উপদেষ্টা নাজমুল হাসান, মহসিন কাকন এবং শিশু পরিবারের বড় ভাই জামাল উদ্দিন। আলোচনা শেষে ছোটদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে বই।

এতিম শিশুদের সঙ্গে খাবারের আয়োজন
ছবি: বন্ধুসভা

সর্বশেষে এতিম শিশুদের নিয়ে জামালপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গান পরিবেশন করেন জামালপুর বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর আলম, বন্ধু রুবেল, ইমরান, শিশু পরিবারের মোস্তফাসহ অনেকেই। শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করা হয়। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক নিজামুল করিম।
এর আগে সকালে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রভাতি ও দিবা শিফটের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। কেউ এঁকেছে গ্রামীণ দৃশ্য, কারও কাগজে বিভিন্ন রঙের ফুলের বাগান। কেউ আবার বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি এঁকে সবার নজর কেড়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামালপুর বন্ধুসভার সহসভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক অন্তরা চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জেন্ডার সমতাবিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক আল মেহেদী হাসান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আশা সরকার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জামিল হোসেন, বইমেলা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, কার্যকরী সদস্য জাকারিয়া জাকি, হিজবুল্লাহ, বন্ধু রুবেল, ইমরান, তাহমিদ, ফাহিম, হিমু, শাকিল, অয়ন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি তাসনিমুল হক, সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, সদস্য সাঈদ, ছোঁয়া, মহিমা প্রমুখ।

সভাপতি, জামালপুর বন্ধুসভা