‘মা’ শব্দটা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর, আবেগঘন এবং মধুর শব্দ। ছোট্ট এই শব্দটির সঙ্গে মিশে থাকে আমাদের রাগ, অভিমান, খুনসুটি আর ভালোবাসার গল্প। মায়েদের জন্য প্রতিটি দিনই স্পেশাল। প্রতিটি দিনই মা দিবস। তবু মাকে একটু বেশি স্পেশাল করার জন্য মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পুরো বিশ্বে পালন করা হয় ‘মা দিবস’।
গত ১২ মে রোববার নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা উপস্থিত হন একজন সিঙ্গেল মাদার ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসন পরিচালিত প্রভাতি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক লায়লা তারেকের বাসায়। তাঁর বেশির ভাগ সময় কাটে স্কুলের ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। একজন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে নিজের ছেলেকে বড় করেছেন। লড়াই করে গেছেন জীবনের অনেকটা সময়। তাঁর ছেলে তাহসিন রহমান এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
লায়লা তারেক নোয়াখালী বন্ধুসভার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। তাঁর ছেলে নোয়াখালী বন্ধুসভার একজন বন্ধু। তিনি বর্তমানে পড়াশোনার জন্য কুমিল্লাতে অবস্থান করছেন।
সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পরে দরজার ওপারে বন্ধুসভার একঝাঁক বন্ধুর সারপ্রাইজিং উপস্থিতি একজন মায়ের জন্য মা দিবসকে একটু বেশিই চমকপ্রদ এবং সুন্দর করে তুলেছে। মা ও সন্তানেরা যখন একত্র হন, তখন অনেক কথা আর স্মৃতির আদান–প্রদান হয়ে থাকে। প্রথমেই ফুল দিয়ে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয় লায়লা তারেককে। পরে শুরু হয় সন্তানদের সঙ্গে মায়ের গল্পের আসর।
লায়লা তারেক বলেন, ‘সত্যি বলতে, জানা ছিল না আজকে যে মা দিবস। সকালে ছেলে ভার্সিটি যাওয়ার পথে বাসে বসে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল, এরপর আর মনে ছিল না। তোমাদের এই সারপ্রাইজ ও উপস্থিতি সত্যি আমাকে অনেক মানসিক প্রশান্তি এনে দিয়েছে। ছেলেকে মিস করলেও তোমাদের উপস্থিতি তা ভুলিয়ে দিয়েছে।’
চলতে থাকে আড্ডা। উঠে আসে নানা গল্প। লায়লা তারেকের মা জাহানারা বেগমও থাকেন তাঁর সঙ্গে। তিনিও শোনান গল্প। বাসায় মা-মেয়ের সময়গুলো দারুণ কাটে। তবে দুজনই মিস করেন তাহসিন রহমানকে। মা দিবসের আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সভাপতি আসিফ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, কার্যকরী সদস্য নয়ন চন্দ্র কুরি, বন্ধু ইমতিয়াজ হোসেনসহ অন্য বন্ধুরা।
প্রচার সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা