রাজবাড়ীতে বিকাশের উদ্যোগে ও প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরিতে বই উপহার দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর রাজবাড়ী শহরের ২ নম্বর মিলেনিয়াম মার্কেটের তৃতীয় তলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ হাজার ৬০০টি বই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান এবং তাঁদের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী বন্ধুসভার সভাপতি আরিফুর রহমান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরির প্রতিনিধিদের হাতে বইগুলো তুলে দেন সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুল মুহিত, রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন, প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা চৌধুরী ইমরুল আহম্মেদ, সমাজকর্মী কমল কান্তি সরকার ও প্রথম আলো প্রতিনিধি এম রাশেদুল হক।
শিক্ষাবিদ খন্দকার আব্দুল মুহিত বলেন, ‘প্রথম আলো সব সময় ভালো কাজে যুক্ত থাকে। আমিও প্রথম আলো ও বন্ধুসভার সব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করি। লাইব্রেরি হচ্ছে একটি জাদুঘর। জরুরি তথ্য বা ইতিহাস জানতে হলে লাইব্রেরিতে যেতে হবে। রাশিয়ার বিখ্যাত লেখক লিও টলস্টয়ের উক্তি দিয়ে বলেন, “জীবনে মাত্র তিনটি জিনিস প্রয়োজন, বই, বই আর বই।” তাই সবাইকে বেশি বেশি বই পড়তে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে, সামাজিক কাজ করার ক্ষেত্রে, জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে, মাদকের ক্ষেত্রে, মুখস্থকে না বলার ক্ষেত্রে প্রথম আলো সঠিক জায়গায় অবস্থান করছে।
রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সমাজকে আলোকিত করতে হলে বই পড়তে হবে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ভালো কিছু আশা করতে হলে মোবাইলের পরিবর্তে বই দিতে হবে। এমন উদ্যোগের জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ দেব। কারণ, প্রথম আলো নিয়ে সমালোচনা শুনি। বাস্তবে প্রথম আলো তার জায়গায় সব সময় অবিচল। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে, সামাজিক কাজ করার ক্ষেত্রে, জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে, মাদকের ক্ষেত্রে, মুখস্থকে না বলার ক্ষেত্রে প্রথম আলো সঠিক জায়গায় অবস্থান করছে।’
নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন বলেন, ‘আগে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম্য নাট্যশালা ছিল, খেলাধুলা ছিল, ক্লাব ছিল। এখন গ্রামগঞ্জে তেমন নাটক হয় না বললেই চলে। বর্তমানে বন্ধুসভার মতো কিছু সামাজিক সংগঠন রয়েছে। প্রথম আলো পাঠাগারে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করছে, এটা অনেক মহৎ উদ্যোগ।’