বিধবা সবিতা দের দুই মেয়ে। ঝুপড়ি ছাড়া তাঁর সহায়–সম্বল বলতে কিছুই নেই। মানুষের ঘরে কাজ করে কোনোরকমে টেনেটুনে সংসার চালান তিনি। গত আগস্টে বন্যায় বসতঘরে পানি ঢুকে সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। ঘর মেরামত করার জন্য রাঙ্গুনিয়া বন্ধুসভার আর্থিক সহায়তা পেয়ে খুশি সবিতা।
সবিতার মতো আরও ১০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের মানুষকে খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনার সহযোগিতায় ৫৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। সহায়তা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন হোছনাবাদ ইউনিয়নের মো. হারুন, ছুরুন নাহার বেগম, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শিমু দে, শহীদুল ইসলাম, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের দানু মিয়া, মো. পরাণ, জামাল উদ্দিন, ছায়েরা বেগম, হিরামন বেগম ও ঝিনু আকতার। প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ।
রাঙ্গুনিয়া বন্ধুসভার সভাপতি এম মোরশেদ আলম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত স্বল্প আয়ের মানুষকে খুঁজে বের করে ঘর মেরামত করার জন্য সামান্য সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
সাধারণ সম্পাদক সুজন কান্তি দাশ বলেন, ‘প্রত্যেককে ঘর মেরামতে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা কিছুই নয়। অন্তত এই টাকা ঘরের কাজে সামান্যতম কাজে লাগলে আমাদের ভালো লাগবে।’
মানবিক এই কাজে সহায়তা করেছেন খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনার পরিচালক চিকিৎসক প্রবীর খিয়াং। তিনি বলেন, বন্ধুসভার ব্যতিক্রমী সব কাজই ভালো লাগে। তাদের কাজে সব সময় অংশীদার হতে চাই।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবারের মধ্যে তিন পরিবারকে বন্ধুরা এলাকায় গিয়ে সহায়তা তুলে দিলেও আট পরিবারকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান নিজ কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। তিনি বলেন, ‘বন্ধুসভার মানবিক কার্যক্রমগুলো ব্যতিক্রমী। সব কার্যক্রমে আমার সহযোগিতা থাকবে। মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকুক বন্ধুসভা।’