চায়ের দেশে ভৈরব বন্ধুসভার আনন্দভ্রমণ

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের সামনে ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: জিহাদ রহমান

২০ জানুয়ারি, শনিবার সকাল ৭টা বেজে ৩০মিনিট। কুয়াশাভেজা শীতকে উপেক্ষা করে প্রথম আলো ভৈরব অফিসের নিচে একে একে হাজির হতে থাকেন বন্ধুরা। সবার মধ্যে আনন্দ–উদ্দীপনা বিরাজ করছে। উদ্দেশ্য আনন্দ ভ্রমণ। এবারের গন্তব্য চায়ের দেশ সিলেটের ইস্পাহানি চা–বাগানসহ আরও বেশ কয়েকটি স্পট।

বাস ছাড়ার পর গান ও নাচে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন সানজিদা, মানিক, রিফাত, তুর্য্যসহ অনেকে। লটারির টিকিট ভ্রমণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই টিকিট বিক্রির কাজে অংশ নেন তানশি নাহার, সানজিদা ও রুপা। প্রথম যাত্রাবিরতি দেওয়া হলো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা ও সভাপতি প্রিয়াংকা গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিলেন বন্ধুদের। সাতছড়িতে গানের সুরে বন্ধুদের কিছুক্ষণ মাতিয়ে রাখেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুর প্রীতি, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোশারফ রাব্বি, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা সিদ্দিকা এবং বন্ধু মোবাশ্বিরা প্রীতি।

শেষ বিকেলে ইস্পাহানি জেরিন চা–বাগানে বন্ধুরা
ছবি: জিহাদ রহমান

এরপর হোটেল পানসীতে দুপুরের খাবার সেরে পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন প্রায় অস্তমিত, আমাদের বাস পৌঁছাল ইস্পাহানি জেরিন চা–বাগানে। বাস থেকে নেমে বন্ধুরা ছড়িয়ে পড়েন চা–বাগানের চারপাশে।

সাধারণ সম্পাদক মানিক আহমেদ অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘ভ্রমণ আমার ভীষণ প্রিয়। সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়ি। আজকের ভ্রমণে অনেক আনন্দ হয়েছে।’

সভাপতি প্রিয়াংকা বলেন, ‘সবুজে মোড়ানো চা–বাগান ছোটবেলা থেকেই আকৃষ্ট করে। খুব ইচ্ছা চা–বাগানে জোছনা ভিজতে। পিকনিক মানেই আমার কাছে সবুজ ঘেরা চারদিক। তাইতো এবার গন্তব্য হিসেবে বেছে নিলাম চায়ের দেশ সিলেটকে।

অবশেষে দিন গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা সাতটা। আমাদের বাস চলল ভৈরবের পথে। র‍্যাফেল ড্র হলো বাসের ভেতর। ভ্রমণ নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন উপদেষ্টা জনি আলম, সুমাইয়া হামিদ, রাকিব হোসাইন, সাবেক সভাপতি নাহিদ হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, ছিদরাতুল রশিদ।

সাংগঠনিক সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা