গরান বৃক্ষের বনভূমিতে বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভা

সুন্দরবনের করমজল পয়েন্টে বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অপার সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান। মানবসভ্যতার সৃষ্টিলগ্ন থেকে মানুষ প্রকৃতির কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছে। প্রকৃতি মানুষের প্রথম শিক্ষক। মানুষের জীবনে প্রকৃতি ও প্রতিবেশের অবদানের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার পক্ষ থেকে বার্ষিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট (গরান বৃক্ষের বনভূমি) সুন্দরবনকে নির্বাচন করা হয়।

বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভার কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টা ও সব বন্ধুর অংশগ্রহণ ১৩ সেপ্টেম্বর ভ্রমণ সম্পন্ন হয়। এ ভ্রমণ বন্ধুদের প্রকৃতির সংস্পর্শে আশার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সুন্দরবনের বিরল জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশদ ধারণা প্রদান করেছে।

ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বন্ধুরা জানান, শহরের কোলাহলমুক্ত এই প্রকৃতির সংস্পর্শে এসে সবাই উৎফুল্ল। বিশেষ করে নতুন বন্ধুরা এ ভ্রমণের মাধ্যমে অনেক অপরিচিত গাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছেন।  বিভিন্ন বন্য প্রাণী ও নাম না জানা অনেক পাখিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া সুন্দরবনের করমজল পয়েন্টে অবস্থিত কচ্ছপ ও কুমির প্রজননকেন্দ্র ভ্রমণ তাঁদের জ্ঞানের পরিধিকে সমৃদ্ধ করেছে।

সবাই বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভার এমন আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করার দাবি জানান। ভ্রমণের স্থান ছিল করমজল, চন্দ্রমহল, বাগেরহাট, ষাটগম্বুজ মসজিদ, জাদুঘর ও খান জাহান আলী মাজার।

বন্ধু, বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভা