সতেজ ফলের মিষ্টি স্বাদে, বর্ষঘিরে মনটা কাঁদে

জামালপুর বন্ধুসভার ফল উৎসব
ছবি: বন্ধুসভা

‘সতেজ ফলের মিষ্টি স্বাদে, বর্ষঘিরে মনটা কাঁদে!’ স্লোগানে ফল উৎসব করেছে জামালপুর বন্ধুসভা। ১১ জুলাই সকাল নয়টায় জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়—আলোচনা, ফল আস্বাদন ও সাংস্কৃতিক পর্ব।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামের উপস্থাপনায় ফল নিয়ে বন্ধু রোহানী সাম্য রচিত ‘আম-কাঁঠালের বাহাস’ রম্যছড়া আবৃত্তির মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটে আয়োজনের। পূর্ণতা আনতে আলোচনায় অংশ নেন উপদেষ্টা রাশেদুল ইসলাম, হিশাম আল মহান্নাভ, নাজমুল হাসান এবং প্রথম আলোর জামালপুর প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ।

সাংস্কৃতিক পর্বে বন্ধুদের সংগীত পরিবেশনা
ছবি: বন্ধুসভা

রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ফল খাই, কিন্তু গাছ খেতে পারি না, তা সুমিষ্ট নয়। তাই আসুন বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ হই। এতে শুধু ফলই নয়, অমূল্য অক্সিজেনও নির্দ্বিধায় পাব।’

আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বন্ধুদের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা না করে পারলাম না। আজকে বাইরে বের হতাম না, শুক্রবার, ছুটির দিন। তবু ফল উৎসবকে ঘিরেই বের হওয়া।’

নাজমুল হাসান বলেন, ‘ফল যেমন সুস্বাদু, তেমনি নানা রঙের আর এর উপকারিতাও ভাবনার ত্রিসীমানার বাইরে। ফল উৎসবকে কেন্দ্র করেই এত এত ফল একসঙ্গে দেখতে পারাটাও আনন্দের।’

সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাসেল মিয়া বলেন, ‘ফল উৎসব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত উৎফুল্ল। গরমের মধ্যে একফোঁটা ফলের রস যেন ক্লান্তি দূর করে দেয়।’

জামালপুর বন্ধুসভার ফল উৎসব
ছবি: বন্ধুসভা

আলোচনা পর্ব শেষে বন্ধুরা ফল আস্বাদন করেন। সবার মধ্যে ফল খাওয়ার অদৃশ্য এক প্রতিযোগিতা! কে কত বেশি ফল খেতে পারে। দ্রুতই শূন্য হয়ে যায় টেবিলে সুসজ্জিত একেকটা ফলের প্লেট। প্লেটে কাঁঠাল, আম, আনারস, আমলকী, কলা, লটকনসহ বাহারি রকমের ফল ছিল।

সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাসেল মিয়া, বন্ধু সিফাত আকন্দ, রতন আহমেদ, মাহমুদা ফেরদৌস, শাকিল ও সাদাত। গিটারে ছিলেন বন্ধু সাদাত ও সোয়াদ। ‘দূর হতে আমি তারে সাধিব’, ‘গ্রামের নওজোয়ান’, ‘তুমি আগের মতন এখনো হাসো’, ‘বাড়ির পাশে মধুমতি’, ‘তোরে মন দিয়া’র মতন একগুচ্ছ গানের সুরে মেতে ওঠে পুরো মিলনায়তন। কৌতুক পরিবেশন করেন কার্যনির্বাহী সদস্য জোবাইর আদিল।

বন্ধু, জামালপুর বন্ধুসভা