রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বন্ধুসভার নানা আয়োজন
‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে, সাহিত্যের সঙ্গে, সংগীতের সঙ্গে, আমাদের প্রতিটি শোভনতম আবেগের সঙ্গে বিজড়িত হয়ে আছেন,’ সিলেটের এমসি কলেজ বন্ধুসভার রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সভাপতি সুমন মিয়া।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের এক ক্ষণজন্মা সাহিত্যিক। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, দার্শনিক, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও সুরকার। ক্ষণজন্মা এই সাহিত্যিকের ১৬৩তম জন্মবাষি৴কী ছিল ২৫ বৈশাখ। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন বন্ধুসভা নানা আয়োজনে কবিকে স্মরণ করে।
এমসি কলেজ চত্বরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চোখের বালি’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্র ও বিশ্বকবির জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়। উপদেষ্টা উত্তম দাস বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কিছু কুচক্রী মহল রাজনীতির কবি বলে প্রমাণ করতে চায়, যা আদতেই সম্ভব নয়। কারণ, রবীন্দ্রনাথ একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাঙালি কবি।’
সাতক্ষীরা বন্ধুসভা জেলা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে আয়োজন করে ‘নানা রঙের রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কবিগুরুর রচিত উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে জামালপুর বন্ধুসভা।
জেলা শহরের সিটি পার্ক বটতলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির আত্মাজীবনী নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে ঝালকাঠি বন্ধুসভা। পাঠচক্রে বন্ধুরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন, চরিত্র ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
বন্ধুরা প্রতিটি অনুষ্ঠান শুরু করেন কবিগুরুর লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত অথবা রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করে। এ ছাড়া আজ (১৪ মে) সন্ধ্যায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর প্রথম আলো কার্যালয়ের সভাকক্ষে বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে ‘সুন্দর, তুমি এসেছিলে আজ প্রাতে’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।