মর্জিনা বেগমের স্বামী থাকলেও তাঁর দেখাশোনা করেন না। একমাত্র সন্তান রাব্বি (৬) এখন শিশু শ্রেণিতে পড়ে। তাকে নিয়ে আলাদা জায়গায় থাকেন মর্জিনা। দুই দিন পরেই ঈদ। কিন্তু সন্তানকে এখনো কিছু কিনে দিতে পারেননি। রাব্বি একটি রঙিন জামা পেয়ে যতটা খুশি হয়েছে, তার থেকেও বেশি খুশি হন তার মা। দুজনের চোখেই আনন্দাশ্রু। মর্জিনা বেগম বলেন, এই জামাটি না পেলে তাঁর সন্তান হয়তো ঈদের দিন নতুন জামা পরতে পারত না।
যশোরের কেশবপুর বন্ধুসভার উদ্যোগে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় দুস্থ শিশুদের মধ্যে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। ১৯ এপ্রিল সকালে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে এগুলো বিতরণ করেন বন্ধুরা।
এদিন রাব্বির মতো এমন আরও ১৫ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু রঙিন জামা পেয়েছে। উপজেলার দেউলী গ্রামের গৃহিণী বিলকিস বেগম তাঁর শিশুসন্তান জাহিদাকে নিয়ে নতুন পোশাক নিতে আসেন। তিনি জানান, বাচ্চার জন্য এখনো নতুন পোশাক কিনতে পারেননি। এই পোশাক হবে ঈদে তার নতুন জামা।
নতুন জামা বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি দিলীপ মোদক, বন্ধুসভার সভাপতি শরিফুল ইসলাম, বন্ধু মনিরুজ্জামান, দীপ্ত রায় চৌধুরী, সুমাইয়া খাতুন, সাদিয়া ইসলাম প্রমুখ।