যশোর বন্ধুসভার ফল উৎসব ও রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী
টিপটিপ বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ উপেক্ষা করে যশোর শহরের পৌর উদ্যানের জোড়া সাকোয় অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন; দেশি ফলের উৎসব ও রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী উদ্যাপন। ২৮ জুন বিকেলে এটির আয়োজন করে যশোর বন্ধুসভা।
উৎসবে বন্ধুসভার বন্ধুদের পাশাপাশি অংশ নেয় সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুরা। শিশুদের ফল উপহার দেওয়া হয়। ফল পেয়ে তাদের চোখেমুখে ছিল আনন্দ আর উৎসাহের ঝলক।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় নজরুলগীতির মাধ্যমে। ‘আলগা করো খোঁপার বাঁধন’ গানটি পরিবেশন করেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শিক্ষার্থী সালমুন লিমা। সংগীতের আবহে বিকেলটা হয়ে ওঠে আরও মধুর।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, যশোর সরকারি সিটি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আবদুর রহিম ও যশোর বন্ধুসভার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক রাইয়াদ ফেরদৌস।
ফলের গুণের বিষয়ে বক্তব্য দেন চিকিৎসক মাসুদুর রহমান। তিনি দেশি ফলের পুষ্টিগুণ এবং শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ফলের ভূমিকা তুলে ধরেন।
কবিতা আবৃত্তি করেন যশোর বন্ধুসভার পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক মনিরা খাতুন, যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ বাংলা বিভাগের প্রভাষক অরুণ মজুমদার এবং বন্ধুসভার সভাপতি জাহিদুল যাদু। আবৃত্তির মাধ্যমে শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় রবীন্দ্র-নজরুলের চিরন্তন সাহিত্যগাথা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা জজকোর্টের আইনজীবী তাহমিদ আকাশ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ হায়দার, শিক্ষিকা সাদিয়া শারমিন, যশোর বন্ধুসভার সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, বন্ধু তাহানি রূপা, নাহিদ হাসান, জাহানারা জ্যোতিসহ অন্য বন্ধুরা। সঞ্চালনা করেন বন্ধু নুরুন্নবী হৃদয়।
বইমেলা সম্পাদক, যশোর বন্ধুসভা