প্রখ্যাত লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘কবি’। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে। উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে তৎকালীন সমাজের তলানিতে থাকা মানুষের কথা। তারাও যে মানুষ, তাদেরও আছে সংসারের টান, আছে আবেগ, আছে কিছু পাওয়া, কিছু না পাওয়ার গল্প। বাংলা সাহিত্যের রত্নভান্ডারের এই মূল্যবান রত্নকে বাদ দিয়ে কোনোভাবে পূর্ণতা পাবে না পাঠক সত্তা।
৩১ জানুয়ারি সিলেট প্রথমা বুক ক্যাফেতে উপন্যাসটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে এমসি কলেজ বন্ধুসভা। বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে বন্ধু লিমা তালুকদার বলেন, গল্পের নিতাই চরিত্রের মাধ্যমে তৎকালীন সমাজের সামাজিক কৃষ্টি ও কালচার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
প্রতিবারের মতো এবারও সেরা তিন পাঠক বন্ধু নির্বাচন করা হয়। তাঁরা হলেন সামিয়া আক্তার, নাফিসা চৌধুরী ও প্রজ্ঞা চৌধুরী। সবাইকে উপহার হিসেবে বই দেওয়া হয়েছে।
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন প্রথমা বুক ক্যাফের মামুন পারভেজ। আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বইবিষয়ক আলোচনা নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমেই একটি আলোকিত ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা উত্তম দাস, সভাপতি সুমন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক লিমা তালুকদার, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক শারমিন লিপি, বন্ধু মীর জান্নাতসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, এমসি কলেজ বন্ধুসভা