‘আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই’

আলোচনা সভা শেষে নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

‘আন্দোলনে প্রথম দিন থেকেই ছিলাম এবং প্রথম থেকেই ছাত্রদের যৌক্তিক কোটা সংস্কারের দাবির পক্ষে ছিলাম। এই বিজয়ের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এখনো রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে যাচ্ছি,’ বলছিলেন প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ওয়ালিদ সালেহীন।

৯ আগস্ট প্রথম আলোর নোয়াখালী অফিসে অনুষ্ঠিত হয় নোয়াখালী বন্ধুসভার আলোচনা সভা। এবারের বিষয় ছিল ‘সুন্দর দেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা ও করণীয়’। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহিন। শুরুতেই আন্দোলনে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল বলেন, ‘আন্দোলন নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের একতা আমাকে নতুন করে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

উপদেষ্টা সুমন নূর বলেন, একজন আবু সাঈদ থেকে হাজার হাজার আবু সাঈদের সৃষ্টি তরুণ সমাজের প্রতি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। এখন দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হোক, সবকিছু স্বভাবিক থাকুক; এটাই চাওয়া।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে সেনাসদস্যদের একাত্মতা আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দিয়েছিল। এই আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ অবধি সব শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

সভাপতি আসিফ আহমেদ বর্তমানে তরুণ সমাজের করণীয় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধুসভার যেসব সদস্য ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও গ্রাফিতির কাজ করছেন, তাঁদের তিনি ধন্যবাদ জানান। আসিফ আহমেদ বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হবে, ক্ষমতার পালাবদল হবে, এটাই স্বাভাবিক। বন্ধুসভা অরাজনৈতিক সংগঠন। ২৫ বছর ধরে যেমন কাজ করে গেছে, সামনেও তেমন কাজ করে যাবে নোয়াখালী বন্ধুসভা। আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই।’

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাজকির হোসেন, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আফরিনা আনিকা, দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত শিহাব, কার্যকরী সদস্য নয়ন চন্দ্র কুরি, বন্ধু ইমতিয়াজ দোলনসহ আরও অনেকে।

প্রচার সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা