গঠনতন্ত্র একটি সংগঠনের মৌলিক নীতিমালা ও নিয়মকানুনের লিখিত দলিল। এটি তৈরি করা হয় যেন সংগঠনটি একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে পরিচালিত হয় এবং সদস্যদের মধ্যে সুস্পষ্ট দায়িত্ব, অধিকার ও কর্তব্য নির্ধারণ থাকে। বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র ঠিক তেমনই একটি দলিল, যা বন্ধুসভার বন্ধু হিসেবে দেশ ও দশের জন্য কোন কাজ দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়।
১৩ মে বিকেলে ‘বন্ধুসভার সংশোধিত গঠনতন্ত্র’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা। মুরারিচাঁদ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ২০৮ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র মূলত পাঁচটি অনুচ্ছেদের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। সংগঠনের মূলনীতি ছয়টি—মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাস, অসাম্প্রদায়িকতায় সংকল্পবদ্ধ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস, দেশপ্রেমে নিবেদিতপ্রাণ, বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয় ও বন্ধুসভার গঠনতন্ত্রে আনুগত্য।
সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র বন্ধুসভাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে সুসংগঠিত করে তোলে এবং স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা বাড়াতে বিস্তর ভূমিকা পালন করে। বন্ধুসভা শুধু মানবিক দিক থেকে নয়, বরং পরিবেশগত উন্নয়ন, আত্মচিন্তামূলক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়নসহ নৈতিক গুণাবলি নিয়ে কাজ করে থাকে।’
বন্ধু রুহেল আহমদ বলেন, ‘কার্যক্রম পরিচালনার নিয়মাবলি নির্ধারণ করা, সদস্যদের অধিকার ও দায়িত্ব স্পষ্ট করা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় যথাযথভাবে জানা যায় বন্ধুসভার গঠনতন্ত্রে।’
পাঠচক্র সঞ্চালনা করেন বন্ধু সামিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্রই বন্ধুসভার শৃঙ্খলা ও ঐক্যের ভিত্তির মাপকাঠি।’
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা