ঈদের আনন্দ শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ

সিলেট বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদ
ছবি: বন্ধুসভা

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে আত্মার পরিশুদ্ধি, ধনী–গরিব, উঁচু–নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সংহতি প্রকাশের এক উদার উৎসব। এই আনন্দটুকু নিম্নআয়ের মানুষ ও শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট বন্ধুসভা। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের আহ্বানে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ২৪ মার্চ বিকেলে বন্ধুসভার বন্ধুরা চলে যান সিলেটের বাঘমারা গ্রামে।

সেখানে ১৪০ শিশুর মধ্যে রঙিন জামা বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ছিল নতুন পাঞ্জাবি ও জামা। পাশাপাশি সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুরা তাদের পরিবারের মধ্যে ঈদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল ময়দা, চিনি, সেমাই, গুঁড়া দুধ ও তেল।

সিলেট বন্ধুসভার ঈদ উপহার পেয়ে খুশি শিশুরা
ছবি: বন্ধুসভা

নতুন জামা পেয়ে শিশুরা বেশ উচ্ছ্বসিত ছিল। মৌ নামের ছয় বছরের এক মেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে বলে, ‘ঈদে এই সুন্দর জামা পরে বাবার সঙ্গে ঘুরতে যাব। নানার বাড়ি বেড়াতে যাব।’

আরিফ নামের আট বছরের এক ছেলে বলে, ‘নতুন পাঞ্জাবি পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমি অনেক খুশি।’

রোকেয়া বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। আমাদের এখানে খুব একটা সহযোগিতা আসে না। আপনারা এগুলো দিতে আসছেন দেখে খুব খুশি হয়েছি।’

শিশুদের পরিবারের জন্য ঈদের খাদ্যসামগ্রীও উপহার দেওয়া হয়
ছবি: বন্ধুসভা

এর আগে একই দিন সকালে সিলেটের বালুচর এতিমখানায় ৩০ শিক্ষার্থীকে নতুন জামা উপহার দেয় সিলেট বন্ধুসভা। রুবেল নামের ১০ বছরের এক ছেলে বলে, ‘আমি তো ভেবেছিলাম, এ বছর নতুন জামা পরা হবে না। অনেক খুশি আজকে। ঈদে নতুন জামা পরতে পারব।’

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বন্ধুসভার বন্ধু দেব রায় সৌমেন, শেখ ফয়সাল আহমেদ, গায়ত্রী বর্মন, সূবর্ণা দেব, কিশোর দাস, প্রণব চৌধুরী, সুমন দাস, কৃত্য ছত্রীসহ অন্য বন্ধুরা।