মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায়, নাকি অজানা একাকিত্বকে? যাদের জন্ম আছে, তাদের মৃত্যুও আছে। তারপরও আমরা মেনে নিতে পারি না এই চরম সত্যকে। মৃত্যুর পর কী হবে, কবরে একা থাকব কী করে, কী আছে ভাগ্যে এসব ভেবেই ভীত হয়ে যাই। স্বপ্নে হঠাৎ করে নিজের বা প্রিয়জনের মৃত্যু কি আতঙ্কিত করে না? চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হানের ছোটগল্প ‘কয়েকটি মৃত্যু’ এসব প্রশ্ন পাঠকদের মনে জাগ্রত করে।
‘কয়েকটি মৃত্য’ গল্পটি একটি স্বপ্নকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। গল্পের চরিত্র আহমদ আলীর বয়স ৬০-এর কাছাকাছি। তার চার ছেলে। বড় ছেলে উকিল, মেজ ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, সেজ ছেলে পাটের কারবারি ও ছোট ছেলে শামছু। শামছু সারা বছর পেটের ব্যথায় অসুস্থ থাকে। আহমদ আলী সারা জীবন অনেক কষ্ট করছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি জহির রায়হানের ছোটগল্পটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে সিলেট বন্ধুসভা। প্রথম আলো সিলেট অফিসের বন্ধুসভাকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বই পর্যালোচনায় বন্ধু ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘জগৎ–সংসারের সব আনন্দই যে সীমিত, যেমনটা দুঃখ-কষ্টগুলোও। কঠিন বাস্তবতার সম্মুখে দাঁড়ালে সবাই হয়ে যায় ঘোরতর স্বার্থপর। এমন কিছু অপ্রিয় সত্যগুলোই ফুটে উঠেছে স্বল্প পৃষ্ঠার এই লেখায়।’
বইটির চরিত্র বিশ্লেষণ করে বন্ধু শতাব্দী দত্ত বলেন, ‘স্ত্রী, চার ছেলে, ছেলেদের বউ, একমাত্র মেয়ে আর নাতি-নাতনিদের নিয়ে গোছানো, শান্তিতে ভরা একান্নবর্তী পরিবার আহমদ আলী শেখের। হঠাৎই এক রাতে এক স্বপ্ন দেখে চমকে ওঠেন আহমদ শেখ। পরিবারে চলতে থাকে নানা রকম জল্পনা–কল্পনা। মৃত্যুকে ঘিরে চলতে থাকে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ।’
পাঠ পরিচিতি করেন বন্ধু সাজন বিশ্বাস। পাঠের আসরে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধু দেব রায় সৌমেন, কিশোর দাশ, কৃত্য ছত্রী, ফয়সাল আহমেদ, সাজন বিশ্বাস, প্রত্যাশা তন্বীসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা