সোনালি ও দুঃখের প্রেমের উপাখ্যান ‘সোনালী দুঃখ’

নোবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠের আসরছবি: বন্ধুসভা

দুঃখের কি কোনো রং আছে? সোনালি নাকি নীল? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন ‘সোনালী দুঃখ’ নামের উপন্যাস। এই নাম শুনে কি ভাবছেন দুঃখগুলো বড় সোনালি-সুবোধ? আসলে দুঃখের রং কী পরখ করতেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির নিচতলায় জড়ো হয়েছিলেন নোবিপ্রবি বন্ধুসভার বন্ধুরা।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নোবিপ্রবি বন্ধুসভা আয়োজন করে বছরের ষষ্ঠ পাঠচক্রের। নির্ধারিত বই ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস ‘সোনালী দুঃখ’। ত্রিস্তান ও ইসোল্টের অমর প্রেমের উপাখ্যান ঘিরে লেখা এই উপন্যাস। একজন কথকের মুখে বর্ণনা করা হয়েছে। যিনি নিজেকে একজন সামান্য কবি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এই সামান্য কবির মুখে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় অসাধারণ বর্ণনাশৈলীতে গেঁথেছেন সোনালি ও দুঃখের প্রেমের উপাখ্যান। সুনীলের গদ্য আর অসাধারণ বর্ণনাশৈলীর ভিড়ে বন্ধুরা ভুলেছেন তাঁদের দুঃখের রং পরখ করার কথা। উপন্যাসের কথক, কবির সুরে সুর মিলিয়ে মেনেই নেন, ‘জীবনে ভালোবাসাই হচ্ছে একমাত্র দুঃখ…।’

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি আবু রায়হান, সহসভাপতি ইসরাত জাহান, সাধারণ সম্পাদক নাহিন সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ খাঁন, অর্থ সম্পাদক সানজিদ মুনতাসির, প্রচার সম্পাদক আবেদুল হক, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সায়েমা আক্তার, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক নকীবুল হক, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক তাজমিলুর রহমান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সুবর্ণা ফেরদৌস।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা