আষাঢ় মাসকে ঘিরে যশোর বন্ধুসভা নিয়েছে এক ভিন্ন উদ্যোগ। সেটা হচ্ছে ক্ষীর কাঁঠাল উৎসব। নবান্ন উৎসব, পয়লা বৈশাখের মতো বাঙালিয়ানা উৎসবগুলোর মতো এটাও প্রাচীন বাংলার একটা ঐতিহ্য বহন করে। মিষ্টি কাঁঠাল ও আতপ চালের সঙ্গে একটু চিনি লবণ দেওয়া ক্ষীরের মিশেলে জমেছিল সারা বিকেল।
৮ জুলাই বিকেলকে আরও রঙিন করে তুলতে অতিথি ও বন্ধুদেরকে দেওয়া হয় একটি করে লাল গোলাপ। বন্ধুসভার বন্ধুরা মিলেই ক্ষীর প্রস্তুত ও কাঁঠাল ভাঙার সব আয়োজন করেছেন।
পল্লিতে এই উৎসব শুরু হয় মূলত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু অথবা শেষ দিকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে কাঁঠাল পাকার সময়কে ঘিরে হয় এ উৎসব। এ সময় প্রায় সবার ঘরে কাঁঠাল থাকে। কাঁঠালের সঙ্গে সদ্য ঘরে তোলা আতপ চালের ক্ষীর দিয়েই হয় এ উৎসব। ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সবাই উৎসবটি পালন করে থাকেন।
বাঙালির এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে শহরমুখী করতেই যশোর বন্ধুসভার ভিন্ন এ আয়োজন।