নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্রে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প ‘ছুটি’

নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

‘ছুটি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জনপ্রিয় একটি ছোটগল্প। ১৭ অক্টোবর বিকেলে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গল্পটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে নোয়াখালী বন্ধুসভা। সঞ্চালনায় ছিলেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমি। পরিচয় পর্বের পর শুরু হয় মূল আলোচনা।

দপ্তর সম্পাদক নয়ন চন্দ্র কুরী বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের জনক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার প্রিয় লেখক, সাহিত্যিক ও গীতিকার। তাঁর লেখা অনেক সাহিত্যকর্মের মধ্যে “শেষের কবিতা” উপন্যাস আমার পছন্দের। এ ছাড়া, ছোটগল্প লেখার কলাকৌশল, বিষয়বস্তু রবীন্দ্রনাথ “ছুটি” গল্পে অনেক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।’

‘ছুটি’ ছোটগল্পটি ১২৯৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে রচিত। ১৮৯২ সালে ডিসেম্বর মাসে ‘সাধনা’ পত্রিকায় এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে গল্পটি ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজকির হোসেন বলেন, ‘লেখক বয়ঃসন্ধিকালের দুরন্তপনা ছেলে ফটিক চরিত্রের মাধ্যমে জীবনে মুক্তভাবে বেঁচে থাকা এবং স্বাধীনচেতা হয়ে বাঁচার আকুতি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।’

বন্ধু শান্ত দে বলেন, ‘তেরো-চৌদ্দ বছরের বালক ফটিকের মধ্যে আমাদের সমাজের হাজারো ফটিক আর মাখনলালের সঙ্গে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এই বয়সে কেউই চায় না আবদ্ধ নিয়মে বাঁধা পড়তে, সবাই চায় মুক্ত জীবন; গল্পের ফটিকও তাই চেয়েছিল।’

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত শিহাব, বন্ধু শুভ মাহমুদ ও নিয়াজ রহমানসহ অনেকে।

সাংগঠনিক সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা