নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘বাদশাহ নামদার’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ১০ নম্বর রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বই নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মুন্না। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে এক ভিন্নধর্মী বাদশা মোগল সম্রাট হুমায়ূনের রোমাঞ্চকর শাসনামল এবং জীবনী। সম্রাট হুমায়ূন সম্পর্কে বলা হয়, কোথাও পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সম্রাট হুমায়ূন অবশ্যই সেখানে পিছলে যেতেন; এমনকি তিনি মৃত্যুবরণও করেন সেই পিছলে গিয়েই। সম্ভবত এই একটি লাইনই সম্রাট হুমায়ূনের সমগ্র জীবনকে সংক্ষেপে প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট!
রাজনৈতিক দার্শনিক মেকিয়াভেলির মতে, একজন শাসক হবেন শিয়ালের মতো ধূর্ত এবং সিংহের মতো দুরন্ত। কিন্তু সম্রাট হুমায়ূন ছিলেন একেবারে সাদামাটা শাসক।
গিয়াসউদ্দিন মুন্না বলেন, ‘বন্ধুসভার মূল কাজগুলোর একটি হচ্ছে বই পড়া। সেই জায়গা থেকে বন্ধুসভা যে পাঠচক্রের আয়োজন করছে, সেগুলো অত্যন্ত প্রশংশনীয়। বই পড়ার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’
বইপোকাদের বই আড্ডা শেষে জমে উঠেছিল বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে গানের আসর। জাবি বন্ধুসভার দুই বন্ধু রিজু ও নওরিন তাঁদের চমৎকার গানের মাধ্যমে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন। গানের আসর শেষে শুরু হয় চা–চক্র। তারপর বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি সুমাইয়া জামান ও সাধারণ সম্পাদক অনুপ সরকারসহ অন্তত ২০ বন্ধু।
প্রশিক্ষণ সম্পাদক, জাবি বন্ধুসভা