বাস্তব জীবনের পটভূমি থেকে লেখা মাহমুদুল হকের ‘কালো বরফ’

পাঠচক্র শেষে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

একজন মধ্যবিত্ত কলেজশিক্ষক আবদুল খালেকের জীবনের পটভূমি নিয়ে রচিত ‘কালো বরফ’ উপন্যাস। ১৭ নভেম্বর মাহমুদুল হকের লেখা এই উপন্যাস নিয়ে বসে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর। প্রথম আলোর চট্টগ্রাম অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

‘হিরণ্ময় কথকতা’ শিরোনামের সিরিজ পাঠচক্রের এটি ছিল পঞ্চম পর্ব। আলোচক হিসেবে ছিলেন শিক্ষক ও অনুবাদক আলমগীর মোহাম্মদ। আলোচনার শুরুতে তিনি নিজের বড় ভাই বা বোন না থাকা নিয়ে আফসোস করেন। কেননা, গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আবদুল খালেকের জীবনে বড় ভাই বা বড় বোনের প্রভাব ছিল।

‘কালো বরফ’ মাহমুদুল হকের স্মৃতিগদ্য, যা কিনা বাস্তব জীবনের পটভূমি থেকে লেখা। আবদুল খালেক, যিনি একজন কলেজশিক্ষক, মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। ওনার সহধর্মিণী রেখা, যিনি মামার বাড়িতে বড় হয়েছেন। দারিদ্র্য, অভাব—এগুলো দেখে যার বড় হওয়া। আলোচক, আলোচনার সুবিধার্থে অনেকগুলো উপন্যাসের উদাহরণ টেনে আনেন।

চট্টগ্রাম বন্ধুসভার পাঠচক্র
ছবি: বন্ধুসভা

লেখক মাহমুদুল হকের পরিবার থাকত ভারতের বারাসাতে। দেশভাগের পর বাংলাদেশে চলে আসেন তাঁরা। লেখক চলে আসার সময় বাবাকে প্রশ্ন করেন, ‘বাবা দেশ কী?’ তখন লেখকের বাবা জবাব দেন, ‘দেশ হলো যেখানে তুমি মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে।’

উপন্যাসটি পড়ে একজন বন্ধু বলেন, মাহমুদুল হকের লেখার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ ও আহমদ ছফার ছায়া দেখতে পাওয়া যায়।

বেশির ভাগ বন্ধুরই প্রশ্ন ছিল উপন্যাসের নাম ‘কালো বরফ’ কেন? আলোচক জবাবে বলেন, ‘বরফ সাধারণত সাদা হয়, কিন্তু কালো বরফ বলতে উনি ব্যতিক্রমী কিছু বুঝিয়েছেন। যেমন আমরা শুনেছি, পড়ালেখা করে যে গাড়িঘোড়ায় চড়ে সে। কিন্তু এখানে আবদুল খালেক একজন শিক্ষক হয়েও গাড়ি–ঘোড়া চড়তে তো পারেননি, বরং অভাবে দিন পার করেছেন।’

পাঠচক্রের সঞ্চালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধু ইকবাল জিসান ও তৃষা বড়ুয়া।

সহসভাপতি, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা