জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হলেন গোয়ালন্দ বন্ধুসভার তিন বন্ধু
প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাইয়ে রাজবাড়ী জেলা পর্যায়ে যে চারজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা সবাই গোয়ালন্দ উপজেলার। নারী-পুরুষসহ দুজন প্রধান শিক্ষক এবং দুজন সহকারী শিক্ষক। শ্রেষ্ঠ চার শিক্ষকের মধ্যে তিনজন গোয়ালন্দ বন্ধুসভার কার্যকরী সদস্য।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ বাবর আলী, প্রধান শিক্ষিকা হয়েছেন গোয়ালন্দ রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ পারভীন, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হয়েছেন কেউটিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান এবং সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন দুদুখানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তার ইতি।
২২ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সভাপতি সিদ্ধার্থ ভৌমিক ও সদস্যসচিব মো. তবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে সরকারি বিধি অনুযায়ী সারা বছরের কাজের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে জেলা থেকে চারজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত শিক্ষকেরা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
এর মধ্যে মুহাম্মদ বাবর আলী এর আগে উপজেলা পর্যায়ে আরও আটবার এবং জেলায় প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হলেন। তিনি গোয়ালন্দ বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। নাসরিন আক্তার ইতি এবার নিয়ে জেলায় দুবার এবং উপজেলায় সাতবার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হলেন। তিনি গোয়ালন্দ বন্ধুসভার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। মুহাম্মদ মাহাফুজুর রহমানও এর আগে উপজেলা পর্যায়ে চারবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিও গোয়ালন্দ বন্ধুসভার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
বন্ধুসভার বন্ধুদের এমন অর্জনে গোয়ালন্দ বন্ধুসভার সভাপতি জীবন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘বন্ধুসভা বরাবরই শিক্ষকদের বেশি মূল্যায়ন করে থাকে। এ বছর রাজবাড়ী জেলা পর্যায়ে যে চারজন শিক্ষক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন, তাঁদের মধ্যে তিনজনই বন্ধুসভার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে জড়িত। গোয়ালন্দ বন্ধুসভার পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি অকৃতিম ভালোবাসা।’