হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী উপন্যাস ‘বৃষ্টি বিলাস’ নিয়ে পাঠচক্র করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ১৫ অক্টোবর অনলাইন গুগল মিট অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা করেন সভাপতি আবু রায়হান।
‘বৃষ্টি বিলাস’ উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ অনন্য বর্ণনাশৈলীর মাধ্যমে বৃষ্টির সঙ্গে মানুষের গভীর আবেগ ও অনুভূতির মেলবন্ধন তুলে ধরেছেন। পাঠচক্রে আলোচকরা এ উপন্যাসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, ‘বৃষ্টি শুধু প্রকৃতির একটি উপাদান নয়, বরং এটি মানুষের মনোজগতের প্রতিচ্ছবি। বৃষ্টি যেমন জীবনের প্রাচুর্য ও সরলতার প্রতীক, তেমনই বৃষ্টির মধ্যে লুকিয়ে থাকে স্মৃতি, বেদনা ও ভালোবাসার আবেগ।’
হুমায়ূন আহমেদের লেখায় যে সরলতা ও গভীরতা, তা পাঠককে মুগ্ধ করে। বইটিতে বৃষ্টির মাধ্যমে তিনি চরিত্রগুলোর মনের গভীরে থাকা অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায় জীবনের গল্প লুকিয়ে থাকে—যা হুমায়ূন আহমেদ অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন।
সাধারণ সম্পাদক নাহিন সুলতানা বলেন, ‘এই উপন্যাসে বৃষ্টি কেবল প্রাকৃতিক ঘটনা নয়, বরং এটি মানুষের আত্মিক প্রশান্তির মাধ্যম। হুমায়ূন আহমেদ বৃষ্টির বর্ণনায় জীবনের নানান দিক ফুটিয়ে তুলেছেন, যা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে।’
সহসভাপতি ইসরাত জাহান বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ সব সময়ই সাধারণ মানুষের গল্প বলার ক্ষেত্রে অনন্য। তিনি বৃষ্টি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মানবিক অনুভূতিগুলো চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। উপন্যাসে প্রতিটি চরিত্র যেন বৃষ্টির মধ্যে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে।’
কার্যনির্বাহী সদস্য জে. সি চৌধুরী উপন্যাসের ভিন্ন এক দৃষ্টিকোণ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে প্রকৃতির সৌন্দর্য বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘বৃষ্টি বিলাস’ তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। উপন্যাসের চরিত্রগুলো যেমন বৃষ্টির মধ্যে তাদের নিজস্ব অনুভূতির প্রকাশ ঘটায়, তেমনই বৃষ্টির ছোঁয়ায় জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পায়।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক মোসা. সাবরিনা বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের গল্পগুলো আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি। বৃষ্টি যেন তার উপন্যাসে জীবনের আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখের এক অনন্য রূপক। বৃষ্টির দৃশ্যায়নে তিনি যেমন সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন, তেমনই চরিত্রগুলোর মনের জটিলতাও ফুটিয়ে তুলেছেন।’
সভাপতি, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা