সাতই মার্চের প্রত্যক্ষদর্শীকে সম্মাননা প্রদান

নৌ কমান্ডো আজিজুল আলমকে সম্মাননা প্রদান
ছবি: বন্ধুসভা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উৎস। শুধু বাঙালির জন্যই নয়, বিশ্বমানবতার জন্যও অবিস্মরণীয়, অনুকরণীয় এক মহামূল্যবান দলিল। ইউনেসকোর সিদ্ধান্তে এটিই স্বীকৃত হয়েছে।

৭ মার্চ বেলা সাড়ে তিনটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাবি বন্ধুসভার বন্ধুরা জাতির এক বীর সন্তানের সঙ্গে গল্প করেছেন; যাঁর রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই টেবিলে বসে নাশতা করার স্মৃতি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় যিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন।

নৌ কমান্ডো আজিজুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা। অথচ মানুষটি নামের আগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দটি লেখেন না। তা নিয়ে কোনো দম্ভ করেন না, নেন না কোনো সুযোগ-সুবিধা। নিভৃতে বসে সেই সময়ের স্মৃতিচারণা থেকে তরুণ প্রজন্মের জন্য গ্রন্থ লিখে চলেছেন। ইতিমধ্যে ১২টি বই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর। সর্বশেষ বইমেলায় ‘হিমালয় নাকি বঙ্গবন্ধু কে বড়’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা আজিজুল আলমের কাছ থেকে শোনেন ৭ মার্চের গল্প। কেমন ছিল সেই দিনটি? কেমন ছিল সেদিনের রেসকোর্স ময়দান? কীভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অনুপ্রেরণা দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে? এসবের উত্তর উঠে এসেছে নৌ কমান্ডো আজিজুল আলমের বক্তব্যে।

আজিজুল আলম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে মানুষের কল্যাণে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের এগিয়ে যেতে পরামর্শ দেন এবং সর্বদা ভালোর সঙ্গে, আলোর পথে চলার উপদেশ দেন।

বন্ধুরা এমন একজন বীরকে পেয়ে খুব খুশি। রাবি বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জেসমিন বলেন, ‘আজ আমরা এত খুশি, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। নৌ কমান্ডো আজিজুল আলম শুধু একটি নাম নয়, অনুপ্রেরণার প্রতীক। আমরা তাঁকে সম্মাননা দিতে পেরে আনন্দিত।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাবি বন্ধুসভার উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইমন ভূঁইয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক তানজিদা রিতু, বইমেলা সম্পাদক আশিকুর রহমান, বন্ধু রিয়াদ খান, মো. শুভ, কাউসার আহমেদ, আল আমিন, মেহেদী হাসান প্রমুখ।

সাংগঠনিক সম্পাদক, রাবি বন্ধুসভা