ড. জোসেফ মারফির বিখ্যাত বই ‘দ্য পাওয়ার অব ইয়র সাবকনশাস মাইন্ড’। আত্ম-উন্নয়নমূলক এই গ্রন্থটিতে তুলে ধরা হয়েছে—কীভাবে মানুষের অবচেতন মন জীবন পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। বইটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে কক্সবাজার সিটি কলেজ বন্ধুসভা। ২৯ মে দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বইটির মূল বক্তব্য হলো—আপনার মনের অবচেতন অংশে যা বপন করবেন, সেটিই একদিন বাস্তবে রূপ নেবে। প্রতিদিন আমরা যে চিন্তাগুলো করি, সেগুলোর একটি বড় অংশ অবচেতন মনে গেঁথে যায়। এই অবচেতন মনই আমাদের আচরণ, স্বাস্থ্য, সাফল্য, এমনকি ভাগ্য পর্যন্ত প্রভাবিত করে।
বইয়ের মূল বার্তাসমূহ হলো—চিন্তাশক্তির প্রভাব: আপনি যা ভাববেন, অবচেতন মন তা বিশ্বাস করতে শুরু করে। ইতিবাচক চিন্তার শক্তি: স্বাস্থ্য, সাফল্য ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে কার্যকর। নেগেটিভ ধারণার বিপদ: ভয়, সন্দেহ ও হতাশা অবচেতন মনে বাসা বাঁধলে তা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়। ধর্ম ও বিজ্ঞান: বইটি ধর্মীয় বিশ্বাস ও মনস্তত্ত্বের এক চমৎকার সমন্বয়।
ড. মারফি পরামর্শ দেন, প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এবং সকালে জেগে উঠেই ইতিবাচক কথাগুলো নিজেকে বলা—যেমন ‘আমি সফল’, ‘আমি সুস্থ’, ‘আমি শান্তিপূর্ণ’। এগুলো অবচেতন মনে রোপিত হলে বাস্তবজীবনে ফল দেওয়া শুরু করে।
বন্ধুরা বলেন, বইটি শুধু থিওরি নয়, বরং ব্যবহারিক দিক থেকেও অসাধারণ। এটি বিশ্বাস, ধ্যান, প্রার্থনা এবং আত্মবিশ্বাসের একটি বিজ্ঞানসম্মত সংজ্ঞা দেয়। বইটি পাঠকের মনের জানালা খুলে দেয়। এটি শেখায়—সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমাদের মনের সেই অংশ, যা আমরা সরাসরি দেখতে পাই না, কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে।
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নুজহাত সিদ্দিকী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আফসার, অর্থ সম্পাদক শহিদুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌষী বড়ুয়া, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রওজাতুল মোস্তফা, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক নুসরাত জাহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণিমা নাথসহ অন্য বন্ধুরা।
সভাপতি, কক্সবাজার সিটি কলেজ বন্ধুসভা