বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে পাঠচক্র করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা। ২৯ অক্টোবর শহরের জেলা স্কাউটস ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রে বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আনিফ রুবেদ। এ সময় তিনি কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘বনলতা সেন’, ‘কুড়ি বছর পরে’, ‘হায় চিল’, ‘বুনো হাঁস’, ‘অন্ধকার’, ‘কমলালেবু’, ‘আমি যদি হতাম’ কবিতাগুলো আবৃত্তি করেন।
আনিফ রুবেদ বলেন, ‘জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি। তিনি লেখক ও প্রাবন্ধিক। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে অপরূপময়। তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’। ১৯৪২ সালে এটি প্রকাশিত হয়। এটি জীবনানন্দ দাশের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। তার আগে ‘ঝরা পালক’ এবং ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ নামের দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছিল। এ কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ২৯টি কবিতা স্থান পেয়েছে। শুরুর কবিতাটির নামে কাব্যগ্রন্থের নাম। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কবিতা’য় প্রথম ১৯৩৩ সালে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। অ্যাডগার অ্যালেন পো–এর ‘টু হেলেন’ কবিতাটির সঙ্গে বনলতা সেন কবিতাটির কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। ‘বনলতা সেন’ চরিত্রটি জীবনানন্দসৃষ্ট বিখ্যাত একটি চরিত্র।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন, জহিরুল ইসলাম, সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক আলীউজ্জামান নূর, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, বন্ধু ফারাহ্ উলফাৎ, মাসরুফা খাতুন, ফাবিহা ফারজানা, আল মাহমুদ, নাফিউল ইসলাম, মঈন আলী, সাকিব ইসলাম, সোহান আলী, জুবায়ের আহমেদ, আহমেদ ওয়ালিদ, শাকিল হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মুশফিক মাহাদী ও সৈয়দ নুরুল আমিরুল মোমেনীনসহ অন্য বন্ধুরা।
জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা