‘সৃষ্টিশীল কাজে সাহস জোগায় বন্ধুসভা’

গ্রাফিতি আঁকছেন ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদয়ের পর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সংস্কার কার্যক্রম। ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবার সঙ্গে কাজে নেমে পড়েন। পরিচ্ছন্নতা অভিযান, গ্রাফিতি অঙ্কন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ সব কাজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুদেরও ছিল সরব উপস্থিতি।

গত কয়েক দিন ভৈরবের বিভিন্ন স্থানে গ্রাফিতি করছেন বন্ধুরা। প্রথমে ভৈরব রেলস্টেশন, সড়কের পাশের দেয়াল, সবশেষে হাজী আসমত আলী এতিম বালিকা শিশু পরিবার প্রাঙ্গণ রাঙিয়ে ওঠে বন্ধুদের তুলির ছোঁয়ায়। ভৈরবের তরুণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এসব সৃষ্টিশীল কাজ করছেন বন্ধুসভার বন্ধুরা।

ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুদের আঁকা গ্রাফিতি
ছবি: বন্ধুসভা

এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ সম্পাদক মহিমা মেধা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আঁকাআঁকির দিকে ঝোঁক আমার। তবে এবারই প্রথম দেয়ালে আঁকার সাহস করি। এই কয়েকটা দিন সবার সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লেগেছে।’

সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বলেন, ‘পড়াশোনার পর ক্যানভাস আমার প্রিয় জায়গা, সময় কাটানোর মাধ্যম। এবার ভৈরবের ছাত্রদের সঙ্গে গ্রাফিতি অঙ্কনে অংশ নিয়ে দারুণ অনুভূতি কাজ করছে। সৃষ্টিশীল কাজে সাহস জোগায় বন্ধুসভা।’

গ্রাফিতি আঁকা দেয়ালের সামনে ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

পাঠচক্র ভৈরব বন্ধুসভার প্রাণ। মুদ্রিত বই পড়ার গ্রাফিতি অঙ্কন করেন মহিমা মেধা, সাইফুর রহমান ও শাহরিয়ার ইবাদ। তাঁদের সহযোগিতা করেন অন্য বন্ধুরাও।

দিনের বেলা একদিকে চলছিল গ্রাফিতি অঙ্কন। অন্যদিকে রাতের বেলায় ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধু নুদরাতুন তোরসা ও শাহরিয়ার ইবাদের উদ্যোগে মন্দির পাহারার দায়িত্ব পালন করেন বন্ধুরা।

সাধারণ সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা