কক্সবাজারের তিন বন্ধুসভার সঙ্গে জাতীয় পর্ষদের সাংগঠনিক বৈঠক
কক্সবাজার বন্ধুসভা, কক্সবাজার সিটি কলেজ বন্ধুসভা ও উত্তরণ মডেল কলেজ বন্ধুসভার সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেছে জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ। ১০ জুন বিকেলে কক্সবাজারের সৈকতের পাশেই একটি রেস্টুরেন্টে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সহসভাপতি মাহবুব পারভেজ।
পরিচয় পর্ব শেষে জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি মাহবুব পারভেজ বন্ধুসভার সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে সবার মতামত ও অভিজ্ঞতা জানতে চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধুরা তাঁদের চলমান ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
কক্সবাজার সিটি কলেজ বন্ধুসভার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বন্ধুসভার সদস্যদের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই বিষয়টি জাতীয় পরিচালনা পর্ষদকে জানানো হবে।’
কক্সবাজার বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক উলফাতুল মোস্তফা বলেন, ‘আমরা মানব পাচার রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি লংমার্চ বা রোডমার্চ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, এটি খুব শিগগির বাস্তবায়ন করতে পারব।’
কক্সবাজার বন্ধুসভার সহসভাপতি নুরুল আবছার বলেন, ‘আমরা কক্সবাজার অঞ্চলের সব বন্ধুসভাকে একত্র করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি পেলে কাজ শুরু করব।’
বৈঠকের শেষাংশে জাতীয় পর্ষদের সহসভাপতি মাহবুব পারভেজ বন্ধুসভার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা আরও বেগবান করার লক্ষ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
* প্লাস্টিক রিসাইকেলিং উদ্যোগ: পরিবেশদূষণ রোধে বন্ধুসভাগুলো স্থানীয় পর্যায়ে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও রিসাইকেলিং কার্যক্রম হাতে নিতে পারে। স্কুল-কলেজ বা পাড়া-মহল্লায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করা যেতে পারে।
* ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস লাইনের উন্নয়নে সাইনিং ফেস্টুন লাগানোর ক্যাম্পেইন: যাতায়াতে নিরাপত্তা, সময়ানুবর্তিতা এবং নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় জনগণ ও কক্সবাজারে আসা পর্যটকের সুবিধার্থে বিভিন্ন মোড়ে এবং রাস্তার পাশে সাইনিং ফেস্টুন লাগানোর কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে, যা স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করে সহায়তা চাওয়া।
* হাইজিন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার বা বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে ক্যাম্পেইন পরিচালনার মাধ্যমে জনসাধারণকে হাইজিন সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
* ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাবলম্বী করতে সহায়তাকরণ কর্মসূচি: বন্ধুসভার তরুণ সদস্যরা স্থানীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে, তাঁদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারেন। উদ্যোক্তাদের জন্য ‘সাপোর্ট সেল’ গঠন করা যেতে পারে।
* ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ: শিশু বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য বন্ধুসভা সচেতনতা কর্মসূচি, পুনর্বাসন পরিকল্পনা এবং বিকল্প উপার্জনের পথ খুঁজে দিতে পারে।
সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার বন্ধুসভা