ঐতিহাসিক মিয়ার দালানে ঝিনাইদহ বন্ধুসভার বন্ধুমেলা

ঝিনাইদহ বন্ধুসভার বন্ধুমেলাছবি: বন্ধুসভা

ঝিনাইদহ শহরের অদূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুরারীদহ গ্রামে প্রায় দু শ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক ‘মিয়ার দালান’। কথিত আছে সেলিম চৌধুরী নামের ভারতবর্ষের এক ধনাঢ্য জমিদার ও পরিষদবর্গ নিয়ে নৌকাভ্রমণে নবগঙ্গা নদীর এই অংশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে পান, তা হলো পদ্মাপাতার ওপরে একটা বড় ব্যাঙ সাপ ধরে খেয়ে ফেলছে। এটি একটি বিপরীত চিত্র। তিনি তৎক্ষণাৎ সেখানে একটি প্রাসাদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

দীর্ঘ সাত বছরে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২৩৬ সনে বাড়িটির কাজ শেষ হয়েছিল। কালের পরিক্রমায় বাড়িটির মালিকানায় যেমন পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি পরিবর্তন হয়েছে তার কাঠামো ও জৌলুশে। প্রায় ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে যাঁদের নামে বাড়িটি ‘মিয়ার দালান’ নামে পরিচিতি পেয়েছে, সেই মিয়া বংশের লোকেরা বাড়িটিতে বসবাস শুরু করেন ১৯৬০ সাল থেকে।

দুপুরের খাবার পর্ব
ছবি: বন্ধুসভা

১৯ জানুয়ারি ঝিনাইদহ বন্ধুসভার বন্ধুরা নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথ গ্রহণ ও বন্ধুমেলা-২৪ আয়োজন করেন ঐতিহাসিক মিয়ার দালানে। সপ্তাহজুড়ে নানা জল্পনাকল্পনার পর শীতের কনকনে আবহাওয়ায় অর্ধশতাধিক বন্ধুর অংশগ্রহণে যা মিলনমেলায় পরিণত হয়।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মূল কার্যক্রম শুরু হয়। সভাপতি ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথবাক্য পাঠ করান সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব। শপথবাক্য পাঠ শেষে সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমানের সঞ্চালনায় সাধারণ সভা রূপ নেয় সাংগঠনিক আড্ডায়। আড্ডা শেষে বন্ধুরা খেলাধুলা, নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন।

দুপুরের খাবারের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক আড্ডা। বন্ধুসভার শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধু ও উপদেষ্টারা গান ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে সবাইকে মাতিয়ে তোলেন। বন্ধু সুমনা খাতুন ও ফারদিন আহম্মেদের যৌথ পরিচালনায় বন্ধুদের জুতা চুরি, বেলুন ফোটানো, হাঁড়ি ভাঙা ও বুদ্ধির খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপদেষ্টা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। আকিমুল ইসলাম ও কাজী জান্নাতুল যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ বন্ধুসভা