হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে জামালপুর বন্ধুসভা। ৭ মার্চ সকালে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের আমতলায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।
‘দেয়াল’ হুমায়ূন আহমেদ রচিত শেষ উপন্যাস। এটি ২০১৩ সালে তাঁর মৃত্যুর পর অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়। বইটির ভূমিকা লিখেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
উপন্যাসটি মূলত ইতিহাস আশ্রিত একটি রচনা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ১৫ আগস্ট এবং এর পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি। ঐতিহাসিক চরিত্রের পাশাপাশি কাল্পনিক চরিত্রের উপস্থিতিও রয়েছে। অবন্তি, অবন্তির দাদা সরফরাজ খান, অবন্তির শিক্ষক শফিক চরিত্রগুলো তৎকালীন সময়ের সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে, যা পাঠককে সেই সময়ের পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করে।
উপন্যাসে দুটি গল্প সমান্তরালে বলা হয়েছে। প্রথম আখ্যানে আছে ভিকারুননিসা কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী অবন্তির কাহিনি। অবন্তি তার দাদা সরফরাজ খানের সঙ্গে ঢাকায় থাকে। বাবা নিরুদ্দেশ, মা স্পেনে। সরফরাজ খান একজন রক্ষণশীল ও খেয়ালি চরিত্রের অদ্ভুত লোক। তিনি অবন্তির সবকিছুতে নজরদারি করেন। অবন্তির শিক্ষক শফিককে সন্দেহের চোখে দেখেন। তার উপহার দেওয়া বই তিনি নিজে আগে পড়ে দেখেন।
সরফরাজ খানের ছেলের বন্ধুদের একজন খালেদ মোশারফ। এ বাড়িতে তার যাওয়া–আসা আছে। তার সূত্রে কর্নেল তাহেরও এখানে এসেছেন। এভাবেই প্রথম আখ্যানের সঙ্গে দ্বিতীয় আখ্যানের যোগ সাধিত হয়। দ্বিতীয় আখ্যান সূচিত হয় মেজর ফারুকের বঙ্গবন্ধু–হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে, আর সমাপ্তি ঘটে তাহেরের ফাঁসিতে।
পাঠচক্র সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সামিতা চোধুরী। কার্যনির্বাহী সদস্য আদিল ও হৃদয় বই নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সহসভাপতি রাহুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক ফারজানা আক্তার, বইমেলা সম্পাদক আমির হামজাসহ অন্য বন্ধুরা।
সাংগঠনিক সম্পাদক, জামালপুর বন্ধুসভা