সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধুসভার উদ্যোগে মানববন্ধন
ছবি: বন্ধুসভা

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছে বন্ধুসভা। ৩১ মার্চ বেলা সাড়ে তিনটায় জেলা শহরের চৌরাস্তায় এ মানববন্ধন হয়।

কর্মসূচিতে জেলায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ছাড়াও নানা পেশার শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন। এ সময় তাঁরা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বাতিল করে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুক্তি দাবি জানানো হয়।

ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সোহবার হোসেনের সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ঠাকুরগাঁও জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হাবিব, নিরাপদ সড়ক চাই ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি আবু মহিউদ্দিন, সময় টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক জিয়াউর রহমান, আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি আল মামুন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মুজিবর রহমান প্রমুখ।

এর আগে বেলা তিনটার দিকে বন্ধুসভার বন্ধু ও স্থানীয় সাংবাদিকরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে চৌরাস্তায় জড়ো হন। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁরা সেখানে মানববন্ধনে দাঁড়ান। নানা পেশার মানুষও একাত্মতা জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, সারা দেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কারণে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের হেনস্তা হতে হয়েছে। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান কারাগারে গিয়েছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কষ্টে থাকা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মনের কথা প্রতিবেদন তুলে ধরে। এ ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের নামেও মামলা হয়েছে। সাংবাদিকরা যাতে দেশে চলতে থাকা অন্যায়-অবিচার, অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরতে না পারে, সে কারণে এসব মামলা। গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলো অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অথচ তা বলার অধিকার নেই, সাংবাদিকদের লেখার অধিকার নেই।

বক্তারা আরও বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রতিবাদ জানাতেই পারেন। কিন্তু এভাবে রাতের অন্ধকারে একজন সাংবাদিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। মানববন্ধনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।