মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা
প্রেম ও সম্পর্কের জটিলতার গল্প ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’
হুমায়ূন আহমেদ সব সময়ই তাঁর লেখায় মানুষের মনস্তত্ত্ব, সম্পর্কের জটিলতা ও জীবনের সাধারণ মুহূর্তগুলোকে বিশদভাবে উপস্থাপন করেছেন। ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’ উপন্যাসটিও ব্যতিক্রম নয়। এটি একটি আধুনিক রোমান্টিক গল্প, যেখানে গল্পের ভেতর একটি বিশেষ শৈল্পিক তাড়না ও মনোরঞ্জন রয়েছে।
এই উপন্যাসের কাহিনি এক প্রেমময় সম্পর্কের জটিলতা এবং একজন মানুষের জীবনে এক অসাধারণ পরিবর্তনের গল্প। বইটির মূল চরিত্র পুরুষ ও নারী—তাদের মাঝে একধরনের অসম্ভব আকর্ষণ ও সম্পর্কের এক অদ্ভুত টানাপোড়েন তৈরি হয়।
গল্পের পরিবেশ, চরিত্র ও তাদের অনুভূতির মধ্যে এক সুন্দর তীক্ষ্ণতা রয়েছে, যা পাঠককে সহজেই আকৃষ্ট করে। হুমায়ূন আহমেদ এখানে যে বিশুদ্ধতা ও সরলতা তুলে ধরেছেন, তা পাঠকের মনকে ছুঁয়ে যায়। তাঁর লেখার মধ্যে একধরনের শান্তিপূর্ণ আবহ থাকে, যা পাঠককে এক ভিন্ন পৃথিবীতে নিয়ে যায়।
এই উপন্যাসে যেমনটা হুমায়ূন আহমেদ প্রায়ই করেন, তিনি বাস্তব জীবনের প্রতিফলনও তুলে ধরেন, যেখানে সম্পর্কের মধ্যে কখনো তিক্ততা, কখনো প্রেম, কখনো আবার অবহেলা কিংবা অসন্তোষও থাকে। তবে তাঁর লেখার মধ্যে একটা ভিন্ন ধরনের রোমান্স আছে—এটা নিঃসন্দেহে পাঠকের মনে দাগ কাটে।
তবে উপন্যাসটির এক বিশেষ দিক হলো এর বার্তা। হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কের বিভিন্ন দিকের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দেন, জীবনে একে অপরকে বোঝা এবং সময়ের মূল্য দেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষের সুখের পেছনে অনেক সময় অজ্ঞাত কারণ থাকে, যা মনের মধ্যে এক অদ্ভুত প্রভাব ফেলে।
হুমায়ূন আহমেদের ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’ উপন্যাসটি ১৯৯৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি প্রকাশিত হয় প্রকাশনা সংস্থা অঞ্জন প্রকাশনী থেকে। ১ সেপ্টেম্বর উপন্যাসটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা। কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু মেহেদী হাসান, সামিয়া আক্তার, শারমিন লিপি, জাবের আহমেদ, মনোয়ার মামুন, তাহমিম ইসলাম, অনুপ দাস, নাজমিন স্নেহাসহ আরও অনেকে।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা