‘স্বাধীনতার জন্য আমাদের পূর্বসূরিরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা আমরা কখনো ভুলতে পারি না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তরুণ প্রজন্ম যদি শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে, তবেই স্বাধীনতার প্রকৃত মূল্যায়ন হবে।’
মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে রাজশাহী বন্ধুসভার আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সভাপতি মিজানুর রহমান। ২৬ মার্চ সকালে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বন্ধুসভার বন্ধুরা। এরপরই সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ।
রাজশাহী বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এটি শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করার একটি প্রতীকী প্রচেষ্টা। আমরা চাই, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হোক।’
দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক নিশাত তাসনিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, এটি আমাদের কাজে ও চিন্তাধারায় প্রতিফলিত হওয়া জরুরি। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো এবং স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় সচেতন হতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে রাজশাহী বন্ধুসভা ভবিষ্যতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনানো, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎকার, স্কুল-কলেজে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সেমিনার আয়োজনসহ আরও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সহসভাপতি, রাজশাহী বন্ধুসভা