রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সব লেখায় স্মৃতিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন। বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে সর্বপ্রাণবাদের দ্যোতনা তাঁর চিন্তা ও সাধনার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। প্রকৃতি থেকে শিশুচিত্তের যে আনন্দ জয় করা যায়, সেদিকে রবীন্দ্রনাথ বারবার তাঁর দৃষ্টিকে প্রসারিত করেছেন। পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থের ‘ছেলেটা’ কবিতার মধ্যেও যার বহিঃপ্রকাশ রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। ১৯ নভেম্বর দুপুরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ভবনের দ্বিতীয় তলায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বন্ধু শিলা আক্তারের সঞ্চালনায় পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থের ‘ছেলেটা’ কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন সভাপতি শাফিনুর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘“ছেলেটা” কবিতাটির মূল বিষয়বস্তু হলো এক অদ্ভুত, স্বাভাবিক ও অসামাজিক ছেলের জীবনযাত্রা, যার মধ্যে প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও প্রাণিজগতের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। এই ছেলেটি সমাজের প্রচলিত নিয়মের বাইরে বাস করে, কিন্তু তার মধ্যে নেই কোনো ঘৃণা বা ভয়; সে পোকামাকড়কে খেতে দেয় এবং এক কাঠবিড়ালিকে পকেটে করে স্কুলে নিয়ে যায়। কবিতাটি মূলত এই বিশেষ ছেলেটির নিজস্ব জগৎ এবং তার অনন্য জীবনযাপনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে।
পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থের ‘শেষ চিঠি’ কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক ইয়ারমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘এই কবিতার বিষয়বস্তু হলো প্রেম, বিচ্ছেদ এবং স্মৃতিকাতরতা; যেখানে কবি তাঁর প্রিয়া অমলির রেখে যাওয়া স্মৃতি ও ফেলে আসা জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন। এই কবিতায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির খালি ঘর থেকে পাওয়া অমলির ফেলে যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে একটি খোলা চিঠি পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে কবি সেই ফেলে আসা সম্পর্কের শেষ ও বিচ্ছেদের বেদনাকে উপলব্ধি করেন।’
পাঠচক্রের আসরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু শাফিনুর ইসলাম, নুর হাসনাত, শাকিল হাসান, ইয়ারমিন আক্তার, শিলা আক্তার, সাবিনা আক্তার ও মোস্তাকিম বিল্লাহ।
প্রচার সম্পাদক, শাবিপ্রবি বন্ধুসভা