বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্রকার, পরিচালক ও গল্পকার জহির রায়হানের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর লেখা ছোটগল্প ‘একুশের গল্প’ নিয়ে পাঠচক্র করে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ২২ আগস্ট বিকেলে জেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমির সঞ্চালনায় পরিচয় পর্ব শেষে গল্পটি নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধুরা।
দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘জহির রায়হানের “একুশের গল্প” মূলত ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা একটি কালজয়ী গল্প, যা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি, সংগ্রাম ও পরবর্তী সময়ের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার এক মর্মস্পর্শী আখ্যান।’
সাংগঠনিক সম্পাদক সানি তামজীদ বলেন, ‘গল্পটিতে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি ও আবেগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মানুষের জীবন ও তাদের স্বপ্ন তুলে ধরা হয়েছে, যা একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনার এক অনবদ্য চিত্রায়ণ।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজকির হোসেন বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ফলে মানুষের জীবনে যে আনন্দ, কষ্ট, আশা ও হতাশা তৈরি হয়েছিল, তারই এক বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন জহির রায়হান।’
বন্ধু শান্ত চন্দ্র দে বলেন, ছোটগল্পটি মেডিকেল ছাত্র তপুকে কেন্দ্র করে লেখা। যে ভাষা আন্দোলনে শহীদ হয়েছিল।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব ভূঁইয়া, বন্ধু বোরহান উদ্দিন, এস এম সুলতানসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা