৬ ডিসেম্বর ছিল ফেনী হানাদারমুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে ফেনী বন্ধুসভার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে প্রথম আলো ফেনী অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রথম আলোর সাবেক প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভোররাতে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিলাম। আমাদের তুমুল আক্রমণে হানাদার বাহিনীর কেউ চট্টগ্রাম, কেউ নোয়াখালী পালিয়ে যায়। পরে আমরা বিজয়ের স্লোগান দিয়ে লাল–সবুজের পতাকা উড়িয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব।’
প্রথম আলোর ফেনী প্রতিনিধি ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা নাজমুল হক শামীম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য ফেনীর ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হয়। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৪ জন বীর উত্তম, ৭ জন বীর বিক্রম এবং ২০ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় সারা দেশে একক জেলা হিসেবে ফেনী অন্যতম।’
সভাপতি জান্নাত আক্তার বলেন, বিজয়ের মাসে ফেনী মুক্ত দিবস ছাড়াও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে বন্ধুসভা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বুদ্ধিজীবী দিবসে ফেনী কলেজ বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্বে মোমবাতি প্রজ্বালন ও আলোচনা সভা, বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বন্ধুসভার সহসভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক দীপঙ্কর রায় চৌধুরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক তন্ময় নাথ, কার্যনির্বাহী সদস্য দেলোয়ার হোসেন, বন্ধু জিহাদ মজুমদার, আবুল হাসান প্রমুখ।
কার্যনির্বাহী সদস্য, ফেনী বন্ধুসভা