বই আড্ডা ও কুইজ প্রতিযোগিতা

নোয়াখালী বন্ধুসভার বই আড্ডা
ছবি: সংগৃহীত

গত শতকের চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে গ্রামীণ সমাজে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের জয়জয়কার ছিল। আর সেটিকে পুঁজি করে গড়ে ওঠে বিভিন্ন মাজার; সুবিধা ভোগ করে স্বার্থান্বেষী ধর্ম ব্যবসায়ীরা। সেই পটভূমি নিয়ে রচিত হয়েছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘লালসালু’ উপন্যাসটি।

১০ অক্টোবর ছিল বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম কিংবদন্তি লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রয়াণদিবস। তিনি ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলায়। গ্রামীণ সমাজ ও তাদের জীবনধারা নিয়ে লিখেছেন অসংখ্য গল্প-উপন্যাস ও নাটক।

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রয়াণদিবসে নোয়াখালী বন্ধুসভা অনলাইনে আয়োজন করে একটি বই আড্ডার। নির্ধারিত বই ছিল লেখকের প্রথম উপন্যাস ও তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম ‘লালসালু’। এদিন রাত সাড়ে নয়টায় সভাটি শুরু হয়। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবনী ও তাঁর রচিত সাহিত্যকর্ম উপস্থাপন করেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সদস্য তাজকির হোসেন। বই নিয়ে আলোচনা করেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুর রহমান। তিনি ‘লালসালু’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ও কাহিনির বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজব্যবস্থা ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের দাপটের বিভিন্ন দিক বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়েও “লালসালু” উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদের মতো এমন অনেক দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ ভণ্ডামির মাধ্যমে আমাদের চারপাশকে অন্ধকার করে রেখেছে।’

এ ছাড়া নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা ‘লালসালু’ উপন্যাস নিয়ে তাঁদের পর্যালোচনা তুলে ধরেন। আড্ডার এক ফাঁকে তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘লালসালু’ চলচিত্রের কিছু দৃশ্য বন্ধুরা একসঙ্গে উপভোগ করেন। সর্বশেষে অনুষ্ঠিত হয় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও ‘লালসালু’ উপন্যাস নিয়ে কুইজ পর্ব। কুইজে সর্বোচ্চসংখ্যক সঠিক উত্তর দিয়ে বিজয়ী হন নোয়াখালী বন্ধুসভার প্রচার সম্পাদক জ্যানিসা আফরোজ ও সদস্য মোহাম্মদ শিমুল।

বই আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন রাতুল, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক নিথিন রায়, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক উম্মে ফারহীন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পার্বণ ভৌমিকসহ অন্য বন্ধুরা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা