তারুণ্যের চোখে মুক্তিযুদ্ধ

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

দেশের স্বাধীনতা ও গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের ভাবনায় গভীরভাবে তুলে ধরতে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা আয়োজন করে ‘তারুণ্যের চোখে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভা। গত ৮ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধকে স্বাধীনতার মূল ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেন এবং ইতিহাসের সঠিক অনুধাবন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। সভাপতি ইব্রাহীম তানভীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্মের ইতিহাস। নিজেদের এই জন্মকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এই সংগ্রাম আমাদের অস্তিত্বের ভিত্তি, যা প্রতিটি প্রজন্মের জন্য এক মূল্যবান চেতনা।’

সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সাধারণ মানুষের জীবনযুদ্ধের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা শুনেছি, তা মূলত নিজের আব্বু-আম্মুর কাছ থেকেই। তাঁদের তখন পাকিস্তানি বাহিনী এলেই প্রাণ বাঁচাতে ধানখেতে বা ডোবার ধারে লুকিয়ে থাকতে হতো। আমাদের মনে রাখতে হবে, মুক্তিযোদ্ধারা যেমন সম্মুখসমরে লড়েছেন, তেমনি অসংখ্য সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন সেই মৃত্যুভয় নিয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন—এটাই ছিল একাত্তরের কঠিন বাস্তবতা।’

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আল সোহেল স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ভিত্তি। এই যুদ্ধ প্রমাণ করে, বাঙালি জাতি আজীবন শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এসেছে। এই অর্জনকে সমুন্নত রাখতে আমাদের উচিত সব সময় মুক্তিযুদ্ধকে লালন এবং অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করা।’

সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন ইতিহাস জানার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যেহেতু আমরা মুক্তিযুদ্ধকে দেখিনি, তাই আমাদের প্রধান কাজ হলো সঠিক বই পড়া, প্রত্যক্ষদর্শীদের লেখা প্রামাণ্য গ্রন্থগুলো পড়া। সত্যকে জানতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, যে জাতি ইতিহাসকে ভুলে যায় সে জাতির পতন অনিবার্য।’

কার্যনির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা