সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ অনন্য

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার আলোচনা সভা
ছবি: সংগৃহীত

‘যদি মন কাঁদে,
তুমি চলে এসো, চলে এসো,
এক বরষায়....’

ভরা বর্ষায় প্রেমাবেগ জাগিয়ে তোলা এই গানের রচয়িতার জন্মদিন ছিল ১৩ নভেম্বর। তাঁর স্মরণে মন কেঁদেছিল ঠিকই, কিন্তু বর্ষার ছোঁয়া না থাকায় কিংবা দুই ভিন্ন জগতের সংযোগহীনতার কারণে আর তাঁর সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হলো না। রাজনৈতিক অবরোধের মধ্যেই তাই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা অনলাইনে লেখকের জীবনকথা নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভা শুরু হয় শব্দের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে করা একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর মাধ্যমে। প্রদর্শনী শেষে প্রথম আলোয় প্রকাশিত রজতজয়ন্তীর বিশেষ লেখা মোহাম্মদ আজমের ‘হুমায়ূন আহমেদ: বাংলাদেশের সমান বয়সী’ শিরোনামের আর্টিকেলটি পাঠ করেন নোবিপ্রবি বন্ধুসভার বন্ধু আবিদ। এরপর বন্ধুরা লেখককে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিদওয়ানুল আলম বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ বাংলাসাহিত্যের কালজয়ী লেখক না হলেও জনপ্রিয়তায় সবার তুঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। মধ্যবিত্তদের আবেগকে ছুঁতে পারাই হুমায়ূন আহমেদকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছে।’

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান বলেন, ‘লেখক হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে চিত্রপরিচালক হুমায়ূন আহমেদ অনেক বেশি সফল। অনেক সময় প্রকাশকদের অনুরোধে তাড়াহুড়া করে বই লেখায় তাঁর সহজাত প্রতিভার ছাপ অনেক উপন্যাসেই ফুটে ওঠেনি। অনেকটা অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মতো। কিন্তু চলচ্চিত্র পরিচালনায় তিনি ছিলেন একচ্ছত্র ও স্বাধীন।’

বন্ধু আবিদের মতে, ‘সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ অনন্য।’ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উম্মে মেহেরুন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ইয়াসিন হোসেন, বন্ধু নকিবুল হক প্রমুখ।

বন্ধু, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা