‘ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে ভাষা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা প্রথম আলো বন্ধুসভার একটি অনন্য উদ্যোগ। আমাদের সময় এ ধরনের প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হতো। আমরা অনেক পড়াশোনা করে প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো এসব শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন হয় না। যার কারণে আমাদের সন্তানরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ঠিক এমন সময়ে বন্ধুসভার এই ভাষা প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’
১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কুমিল্লা নগরের ইউসুফ হাই স্কুলের মিলনায়তনে কুমিল্লা বন্ধুসভার উদ্যোগে ভাষা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক রীতা চক্রবর্তী। আয়োজন সহযোগী হিসেবে রয়েছে কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান, কুমিল্লা ইউসুফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র বীর, কুমিল্লা বন্ধুসভার সভাপতি মহিউদ্দিন লিটন ও প্রথম আলোর কুমিল্লা প্রতিনিধি আবদুর রহমান। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো কুমিল্লার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা জুয়েল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কর্মকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্নেহা সাহা, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক সুরাইয়া খানম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শ্রাবণী রানী দে, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পূজা রানী দাসসহ অন্য বন্ধুরা।
পুরস্কার পেয়ে কুমিল্লা ইউসুফ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আমির হামজা বলে, ‘আমাদের স্কুলের মধ্যে আমি বিজয়ী হয়েছি। অনেক খুশি। এখন চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হতে চাই। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম আলো বন্ধুসভা উদ্যোগে ভাষা প্রতিযোগিতার আয়োজন আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।’
বন্ধুসভার বন্ধুরা জানান, ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কুমিল্লা বন্ধুসভার উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ভাষা প্রতিযোগিতার। প্রথম ধাপে মোট পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ জন করে মোট ৭৫ বিজয়ী নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব।
রোববার প্রথম ধাপের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ইউসুফ হাইস্কুলের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৫ জন বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সনদ, বইসহ শিক্ষাসামগ্রী উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে আরও তিনটি বিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতা হবে।