কৌতূহলেও কখনো মাদক নেওয়া যাবে না

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীপাড়ের মুক্তমঞ্চে ঘুরতে আসা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মাদকবিরোধী প্রচারপত্র বিলি করেন বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

‘মাদককে না বলুন, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ুন’ স্লোগানে কিশোরগঞ্জ বন্ধুসভার আয়োজনে মাদকবিরোধী প্রচারণা চালানো হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে নরসুন্দা নদীপাড়ের মুক্তমঞ্চে এ প্রচারণা চালানো হয়।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আল আমিন হোসাইন এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি তাফসিলুল আজিজ, কিশোরগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা লাক মিয়া, সভাপতি লুৎফুন্নেছা, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ মারুফ, সহসভাপতি আশিক আকরাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোয়েল ফারুকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক তুষার ইমরান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুপ্রতীক সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফাহিম ইসরাক, ম্যাগাজিন সম্পাদক আয়েশা হাবিবা, বন্ধু আহাম্মদ শাহরিয়ার, ফারজানা আক্তারসহ বন্ধুসভার অন্যান্য বন্ধু, পুলিশ সদস্য, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

কিশোরগঞ্জে বন্ধুসভার মাদকবিরোধী প্রচারণা
ছবি: বন্ধুসভা

অতিথিরা নরসুন্দা নদীপাড়ের মুক্তমঞ্চে ঘুরতে আসা তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীসহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকবিরোধী প্রচারপত্র বিলি করেন এবং মাইকে মাদকের কুফল সম্পর্কে সতর্ক করেন। প্রচারপত্র বিলি শেষে অতিথিরা মুক্তমঞ্চের গোলচত্বরে তরুণদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, ‘আপনাদের জীবন খুব মূল্যবান, আপনারা এ দেশের ভবিষ্যৎ। বর্তমান সময়ে মাদকদ্রব্য গ্রহণ কিশোর-তরুণদের মধ্যে বেড়ে গেছে। আসক্ত ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। জীবনে হতাশা আসে, নানা সমস্যাও আসে। হতাশায় মাদক কোনো সমাধান নয়, হতাশা থেকে মুক্তির উপায়ও নয়। একবার মাদকাসক্ত হলে তা থেকে ফিরে আসা কঠিন। অনেকে কৌতূহল থেকে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেন। কিন্তু কৌতূহলেও কখনো মাদক নেওয়া যাবে না। কেউ যদি মাদক নিতে বলেন, তিনি যদি আপনাদের বন্ধুও হন, তাঁকে স্পষ্ট করে ‘‘না’’ বলবেন। মাদক ভয়ংকর নেশা। আসেন, মাদকের বিরুদ্ধে লড়ি এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়তে মাদককে ‘‘না’’ বলি।’

কিশোরগঞ্জে বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আল আমিন হোসাইন বলেন, ‘পুলিশ বা সরকারি চাকরিতে ঢোকার আগে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষা করতে হয়। যাঁর পরীক্ষার ফলাফল নেতিবাচক হবে, তিনি চাকরির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ মাদক সেবন করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এমনকি পুলিশ সদস্য যদি মাদক সেবন করেন, তবে তিনি মাদক বিক্রেতাকে সুযোগ-সুবিধা দিতে পারেন; এই বিবেচনায় মাদক নিয়ে পুলিশ বিভাগে বেশ কড়াকড়ি রয়েছে।’

বন্ধু, কিশোরগঞ্জ বন্ধুসভা