প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে বাল্যবিবাহ ও ডেঙ্গু সচেতনতাবিষয়ক সভা

সভায় উপস্থিত নারীদেরকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় ও বর্জনীয় এবং বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝানো হয়ছবি: বন্ধুসভা

জেলার তিন উপজেলার তিনটি প্রান্তিক গ্রামে গিয়ে নারীদের মধ্যে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও ডেঙ্গু সচেতনতাবিষয়ক সভা করেছে ফরিদপুর বন্ধুসভা। প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ।

সভায় উপস্থিত নারীদেরকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় ও বর্জনীয় এবং বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝানো হয়। ৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের সূর্য গ্রামের শামীমা বেগমের বাড়ির উঠান ও একই দিন বেলা আড়াইটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের সালমা বেগমের উঠানে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মধুখালী উপজেলার কামারখালী গ্রামের আসমা বেগমের বাড়িতে।

তিনটি সভায় দুই শতাধিক বিভিন্ন বয়সের নারী অংশ নেন। আলোচনা করেন ফরিদপুর বন্ধুসভার বন্ধু তৃষা দাস। তাঁকে সহায়তা করেন বন্ধু সুব্রত পাল ও সজীব দত্ত।

সভায় ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে বলা হয়, রাতের পাশাপাশি দিনে ঘুমালেও অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। অনেক দিন ধরে কোথাও পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। ঘরবাড়ির আশপাশে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

বাল্যবিবাহের কুফল তুলে ধরে বলা হয়, অপরিণত বয়সে কোনো কিশোর বা কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া যাবে না। এতে ওই কিশোর-কিশোরীকে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সন্তান জন্ম নেবে অপুষ্টি নিয়ে। এ জন্য পরিণত বয়স না হলে বিয়ের আয়োজন করা যাবে না।

ফরিদপুর বন্ধুসভার অর্থ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘প্রথম আলো বন্ধুসভা সব সময় ভালো কাজের সঙ্গে থাকে। যা কিছু ভালো তার সঙ্গে প্রথম আলো। সূচনা লগ্ন থেকে বন্ধুসভা এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই। আগামী দিনেও এ কাজ অব্যাহত থাকবে।’

সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর বন্ধুসভা