পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘বরফ গলা নদী’

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন নগরী মহাস্থানগড়ে পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: কাজী কামরুল ইসলাম

ক্ষয়িষ্ণু নিম্নমধ্যবিত্ত একটি পরিবারের ঘাত-প্রতিঘাত, আনন্দ-বেদনা, পাওয়া না–পাওয়ার বিষয়গুলো উপজীব্য করে রচিত হয়েছে জহির রায়হানের আলোচিত উপন্যাস ‘বরফ গলা নদী’। ১৯৬৯ সালের একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনযাত্রা কেমন ছিল, সে ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যাবে বইটিতে।

১৪ অক্টোবর উপন্যাসটি নিয়ে পাঠের আসর করেছে পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন নগরী মহাস্থানগড়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠের আসর পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অর্পিতা মন্ডল।

‘বরফ গলা নদী’ উপন্যাসের গল্পটি একটা অসচ্ছল পরিবারের। এই গল্প ভাঙা-গড়ার। এখানে প্রেম যেমন আছে, তেমনই বিরহও আছে। আশা যেমন আছে, অনিশ্চয়তাও আছে। বৃষ্টিতে ছাদ দিয়ে জল পড়ে, সেই ছাদের নিচে যারা স্বপ্নে বিভোর থাকত, এটা তাদের গল্প। আজ তারা যেমন আছে, কাল হয়তো তেমন থাকবে না। জীবন এগিয়ে যাবে। সময় এগিয়ে যাবে। পরিবর্তন আসবে। বুড়ো গাছ মুড়ো হবে। জন্মাবে নতুন কুঁড়ি। দিন শেষে রাত আসবে। গল্প শেষ হবে। বরফ গলে সৃষ্টি হবে বরফ গলা নদী।

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধু নকিব হাসান, কাজী কামরুল ইসলাম, শামীম আহমেদ, আবু তালহা, সভাপতি ফারহানা সুলতানা, সহসভাপতি সাদিয়া ইসলাম, জুলফিকার আলি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুথ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুনা আক্তার, অর্থ সম্পাদক আল আরমান অভি, দপ্তর সম্পাদক সিনথিয়া আক্তার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক নূরে তাসফিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তন্ময় শেখ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নিগম সেন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মানস প্রতিম মহন্ত, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক তুষার চন্দ্র, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক আশিক মাহমুদ, বইমেলা সম্পাদক আবীর রুবাইয়াত, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক রিমন হোসেন, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক নিশাত তাসনিম, বন্ধু কামরুন্নাহার পুতুল, ইবনে সাদিক, অভিষেক সরকার, মুজাহিদুল হক, খালিদ হাসানসহ অন্য বন্ধুরা।

সভাপতি, পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা