সুরের আবহে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় রবীন্দ্রস্মরণ

রাজশাহী বন্ধুসভার উদ্যোগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপনছবি: বন্ধুসভা

রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে রাজশাহী বন্ধুসভা। ৯ মে বিকেলে প্রথম আলো রাজশাহী অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সদস্য শাহরিয়ার হোসেন। তাঁর কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীতের সুর যখন ভেসে আসে, উপস্থিত সবাই গেয়ে ওঠেন পরিচিত চরণগুলো। অনুষ্ঠানে বেহালা বাজিয়ে বিশেষ আবহ তৈরি করেন তরুণ সংগীতপ্রেমী ঔড়ব আজাদ। ‘আনন্দলোকে মঙ্গল–আলোকে’ গানে তাঁর বেহালার সুর মুহূর্তটিকে আরও জীবন্ত করে তোলে।

শিল্পী শাহরিয়ার হোসেন সবার মধ্যে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে কৌতূহলোদ্দীপকসহ অনেক বিষয় তুলে ধরেন। তিনি ‘হে নূতন’ গানটির পটভূমি সম্পর্কে বলেন, ‘এটি কবিগুরুর নিজের জন্মদিন নিয়েই লেখা এবং তিনি আশা করেছিলেন, এই গান যেন তাঁর মৃত্যুর পরেই গাওয়া হয়।’

কবিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নিয়ে বক্তব্য দেন রাজশাহীতে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর রাজশাহী প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী বন্ধুসভার সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক সুশীল চন্দ্র পাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদ হাসানসহ অন্য বন্ধুরা।

উপস্থিত সবাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও সাহিত্যের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন এবং তাঁর রচনাবলির সাংস্কৃতিক ও মানবিক প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। কবির গানের কোনো মৃত্যু নেই, এই উপসংহারে সবাই একমত হয়ে সার্থক করে তোলেন এ আয়োজন।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, রাজশাহী বন্ধুসভা