জীবনের ছন্দময়তা নিয়ে বুদ্ধদেব বসুর কাব্যিক উপন্যাস ‘তিথিডোর’

জামালপুর বন্ধুসভার পাঠের আসরছবি: বন্ধুসভা

বিংশ শতাব্দীর একজন প্রভাবশালী বাঙালি কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু। বিংশ শতকের তিরিশের দশকে বাংলা কবিতার জগতে সৃষ্টি হয় এক নতুন ধারা। এই ধারার পাঁচজন বড় কবির একজন তিনি।

বুদ্ধদেব বসুর নিরীক্ষাধর্মী উপন্যাস ‘তিথিডোর’ নিয়ে পাঠচক্র করে জামালপুর বন্ধুসভা। ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমেই সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হোসেন বইটি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে, নাগরিক মধ্যবিত্ত মানুষের পরিবার জীবনের সহজ ছন্দময়তা, ব্যক্তিজীবনের হাহাকার ও নিঃসঙ্গতাকে কেন্দ্র করে লিখিত কাব্যিক উপন্যাস ‘তিথিডোর’। রাজেনবাবু ও তার স্ত্রী শিশিরকণার ঘর আলো করে জন্ম নেয় পাঁচ কন্যা এবং এক পুত্র। মূল গল্প বিকশিত হয়েছে কন্যা স্বাতী এবং প্রফেসর সত্যেনের স্নিগ্ধ প্রেম আখ্যান নিয়ে।

পাঠচক্র শেষে জামালপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

পাশাপাশি উপন্যাসজুড়ে চল্লিশের দশকে বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের বহুমাত্রিক চিত্র পরম মমতায় উঠে এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই মধ্যবিত্ত পরিবারটিকে যুদ্ধ স্পর্শ করতে পারেনি। মা মরা পরিবারে স্বাতীর বেড়ে ওঠা, রাজেনবাবুর স্নেহের ছায়া, বিজনের খামখেয়ালীপনা ও অবাধ্যতা, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অভিমান-ভালোবাসার মধুর বর্ণনায় কাহিনি এগিয়ে যেতে থাকে। পিতা ও কন্যার সম্পর্ক কতটা স্নেহময় ও গভীর হতে পারে, তা স্বাতী ও রাজেনবাবু চরিত্র দুটির মধ্য দিয়ে লেখক অঙ্কিত করেছেন।

অন্য বন্ধুরাও বইটি নিয়ে আলোচনা করেন। বুদ্ধদেব বসুর জীবন, তাঁর সাহিত্যকর্ম, তিরিশি আন্দোলন—সব মিলিয়ে আড্ডা জমে ওঠে। বই থেকে পছন্দের লাইন পড়ে শোনান বন্ধু মৌসুমি ও সাদিয়া।

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বন্ধু মেহেদি হাসান, জেরিন, ওমর ফারুক ও মো. মাসুদ।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, জামালপুর বন্ধুসভা